ধসে পড়েছে সিডিএ আউটার রিং রোডের ওয়াকওয়ে

63

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্মিত আউটার রিং রোডের ওয়াকওয়ে ধসে পড়েছে। টানা বর্ষণে নিচের মাটি সরে গিয়ে ধসে পড়েছে ওয়াকওয়ে ও ¯ø্যাব। রিং রোডের খেজুরতলা এলাকা ছাড়াও বেশ কয়েকটি এলাকায় ধস ও দেবে গেছে। এতে শহররক্ষা বাঁধ হিসেবে গড়ে তোলা রিং রোডের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটির নকশায় গলদ এবং নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় পরিপূর্ণভাবে ব্যবহারের আগেই এটি ধসে পড়ছে।
২০১৬ সালে শুরু হওয়া আউটার রিং রোডের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরেই। আড়াই হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে উপকূলীয় বাঁধ কাম ৪ লেনের সড়ক করার কথা। প্রকল্পের আওতায় ১৭ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের কাজের মান নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন এলাকাবাসী। বাঁধের ২০ ফুট জায়গার মধ্য থেকে বালি ও মাটি উত্তোলন করা এবং নির্মাণ সামগ্রীর সঠিক ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এলাকাবাসী।
সমালোচনার মধ্যেও সিডিএ রিং রোডের কাজ অব্যাহত রাখে। গতকাল রিং রোডের বিভিন্ন জায়গায় দেবে যাওয়া ও ধস দেখা দেওয়ার পর আবার কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা।
পতেঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সেলিম বলেন, খেজুরতলায় রিং রোডের ওয়াকওয়ে ও ¯ø্যাব ধসে পড়েছে। আরো কয়েকটি এলাকায় এমন ধসের চিহ্ন আছে। ওয়াকওয়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ার কারণে ধসের ঘটনা ঘটে। যে ¯ø্যাব দেওয়া হয়েছে সেখানে কোনো লোহা দেওয়া হয়নি। শুধু ঢালাই করে দেওয়া হয়েছে। সিডিএ সড়কটির পাশ থেকেই মাটি নিয়েছে। যার কারণে ওয়াকওয়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে আউটারে রিং রোডের প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস জানান, টানা বর্ষণে সাগরে পানি বেড়ে যাওয়ায় ঢেউয়ে প্রকল্পের নির্মাণাধীন অংশের কিছু জায়গা দেবে গেছে। নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় সিসি ঢালাইয়ের ওয়াকওয়েটি ধসে পড়েছে। যেসব জায়গা ধসে গেছে সেগুলো এখনো অসমাপ্ত। আশা করছি বর্ষণ বন্ধ হলে শীঘ্রই এসব মেরামত করতে পারবো।
এদিকে রিং রোডের ওয়াকওয়ে ধসের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সমালোচনার ঝড় উঠে। ভাঙা ¯ø্যাবের ছবি দিয়ে ‘রড তো দূরের কথা, বাঁশও দেওয়া হয়নি’, ‘উন্নয়নের নমুনা’, ‘কর্মবীরের কর্ম’,সহ নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ২০০৫ সাল থেকে পতেঙ্গা হতে ফৌজদারহাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধ কাম আউটার রিং রোড নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়। যাচাই শেষে ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে। প্রকল্প এলাকায় ৫ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। চলতিবছরে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকা প্রকল্পের বেশিরভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।