ধর্ম প্রচারের জন্য বিহারে ভিক্ষুদের প্রয়োজন আছে

7

রাঙামাটি প্রতিনিধি

গৌতম বুদ্ধের প্রধান সেবিকা মহাপুণ্যবতী বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত কঠিন চীবরদানোৎসবকে ঘিরে ধর্মীয় নানা আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের বরুণাছড়ি সার্বজনীন বনবিহারে নবম মতম দানোত্তম কঠিন চীবর দান উদযাপিত হয়েছে। গত ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে গত ২৬ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী ধর্মীয় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্য বুদ্ধপুজা, বুদ্ধমূর্তিদান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, কঠিন চীবর দান, পঞ্চশীল প্রার্থনা, সুত্রপাঠ, ধর্মীয় দেশনা, কল্পতরু প্রদক্ষিণ ও ফানুস বাতি উৎসর্গসহ নানাবিধ দান উল্লেখযোগ্য। দানোৎসবকে ঘিরে রাঙামাটি রাজবন বিহারে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো পুণ্যার্থীর ঢল নামে। বিশ্বের সকল প্রাণীর হিতসুখ ও মঙ্গল কামনায় এবং মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে পরিত্রাণের জন্য ভাবনা (নিরবতা) করেন পুণ্যার্থীরা। স্মরণ করা হয় মহাসাধক সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তেকে। ভগবান বুদ্ধের জয়ধ্বনিতে হাজারো পুণ্যার্থীদের ভক্তি ও শ্রদ্ধায় মুখর হয়ে উঠে পুরো বিহার প্রাঙ্গণ। দুপুরে কল্পতরু ও কঠিন চীবরকে পুরো বিহার এলাকা প্রদক্ষিণ করে আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়। পরে উদ্বোধনী ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্যদিয়ে শুরু হয় কঠিন চীবর দানোৎসব। অনুষ্ঠান পরিচালনায় পঞ্চশীল পাঠ করেন সহকারী শিক্ষক সুজন চাকমা। এসময় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রূপক চাকমা, ১নং সুবলং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিহারী রঞ্জন চাকমা পবিত্র চাকমা, বিহারী চাকমা প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জ্ঞান রঞ্জন চাকমা ও প্রতিচার্য্য চাকমাস্বধর্ম ধর্মীয় সভায় ভদন্ত শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির বলেন, মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ধর্ম রক্ষার্থে বিহারের যেমন গুরুত্ব রয়েছে তেমনি ধর্ম প্রচারে বিহারে ভিক্ষুরও প্রয়োজন আছে। তেমনি বিহার পরিচালনা করার জন্য পুণ্যার্থীদেরও প্রয়োজন আছে। সবকিছু একে-অপরের পরিপূরক। সেক্ষেত্রেও পারিবারিক জীবনে পঞ্চশীলের গুরুত্ব অপরিসীম। শীলের পাশা-পাশি দান, শীল-ভাবনা (ধ্যান) করতে হবে। ভাবনার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।