ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত

31

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে ওই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম নিবারণ বড়ুয়া। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব নিয়ামক দপ্তরের ঊর্ধ্বতন সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। পরে আদালতে প্রেরণের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয় ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘জায়নামাজ উল্টে গেছে’ এমন লেখা সম্বলিত একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন কর্মচারী নিবারণ বড়ুয়া। এরপর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে গতকাল সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক কর্মচারী এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বাদি হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮ (২) ধারায় হাটহাজারী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাটহাজারী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক মো. নাজমুল হাসান পূর্বদেশকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮ (২) ধারায় দায়েরকৃত মামলায় ওই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক কর্মচারী মশিউর রহমান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের সত্যতা পাওয়ায় তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ মে ফেসবুকে ‘অবশেষে জায়নামায কাত হয়ে পড়ে গেল’ লিখে নিবারণ বড়ুয়া একটি স্ট্যাটাস দেন। উক্ত স্ট্যাটাসটি বাদি মশিউর রহমানের দৃষ্টিগোচর হয়। যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে বলে মামলায় উল্লেখ করেন বাদি।
এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদি মশিউর রহমানের ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও দুটি নাম্বারই বন্ধ পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক বিজন কুমার বড়ুয়া পূর্বদেশকে জানিয়েছেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুস্মিতা আহমেদের আদালত নিবারণ বড়ুয়াকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।