‘ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাতে’ সর্বোচ্চ শাস্তির মতামত হাইকোর্ট বেঞ্চের

8

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শাস্তি মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন রেখে সরকারকে আইন প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ। বিচারপতি রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার সাইবার নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে এ মতামত দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাহাব উদ্দিন আহমেদ টিপু ও মো. মজিবুর রহমান মুজিব। আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাড. আবদুল্লাহ আল মামুন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক পরে বলেন, ‘আদালত পর্যবেক্ষণে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ এ কোরআনসহ সব ধর্মগ্রন্থের বিষয়ে কট‚ক্তি করলে এই আইনের ধারা জামিন অযোগ্য করাসহ সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদন্ড রাখার বিধান করার পরামর্শ দেয়। আদালত বলেছেন, পূর্ববর্তী আইনে জামিন অযোগ্য ধারা ছিল। বর্তমান আইনে ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়ে কটূক্তি করার মামলা জামিনযোগ্য ধারার হওয়ায় অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে’। খবর বিডিনিউজের
মামলার বরাতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মানিক বলেন, ফেসবুকে নবীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে গত বছরের নভেম্বরে মো. সেলিম খান নামে কুষ্টিয়ার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় নাফিসা চৌধুরী নামে এক নারীর কথা আসে, যদিও তাকে আসামি করা হয়নি।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় ওই মামলা দায়ের করেন হানিফ শাহ নামের এক ব্যক্তি। তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক শেখ লুৎফর রহমান গত ৩১ ডিসেম্বর সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
গত ১৩ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার অবকাশকালীন দায়রা জজ রুহুল আমীন আসামির জামিন আবেদন নাকচ করলে হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেন সেলিম। তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাই কোর্ট গত ৮ জানুয়ারি রুল জারি করে।
আমিন উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার (গতকাল) সেই রুল নিষ্পত্তি করে সেলিমকে জামিন দেয় হাই কোর্ট। আর নাফিসার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ থাকায় তাকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দিতে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয় আদালত। আদালত পর্যবেক্ষণে এই আইনের ধারা জামিন অযোগ্য করাসহ সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদন্ডের বিধান করার মতামত দেন।