ধরাছোঁয়ার বাইরে বাকলিয়ার ভূমিদস্যু এয়াকুব

109

নানা অপরাধ কর্মকান্ডে সাথে জড়িত বাকলিয়া এলাকার আতঙ্ক ভূমিদস্যূ এয়াকুব আলী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। এই ভূমিদস্যু একটি চক্রকে নিয়ে পুরো এলাকার অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। এলাকায় মাদকের কারবারের মূল হোতাও সে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করে লোকাল পুলিশকে ম্যানেজ করে এলাকায় নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ চাইলে যে কোনো মুহূর্তে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। এতো অপরাধের সাথে জড়িত থাকার পরও কেন তাকে গ্রেপ্তর করছে না পুলিশ। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ ভূমিদস্যুর হাত থেকে এলাকাকে রক্ষা হলে এয়াকুবের অপরাধ দমন করতে হবে। তা না হলে অপরাধ জগত দিন দিন বিস্তার ঘটবে।
এর আগে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ঘটনায় অপহরণকারী চক্রের নয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ। তারা সবাই স্থানীয় ভূমিদস্যু এয়াকুব আলীর অনুসারী বলে জানা গেছে। তারা এলাকায় ঘটা সবধরনের অপরাধ কর্মকান্ডে সাথে তারা জড়িত। অন্যের জায়গায় জোর করে সীমানা দেয়াল নির্মাণ, জাল দলিল তৈরি করে স্থানীয়দের জায়গা দখলে নেয়াসহ নানা অপকর্মের সাথে তারা লিপ্ত। একজনের জায়গা দখল করে অন্যজনের নামে করে দেওয়াই এদের মূল কাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক নেতা বলেন, মো. এয়াকুব আলী ১৯৯৫ সালের ৯ মে দেড় কেজি হেরোইনসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। জামিনে মুক্তি পেয়ে রাহাত্তারপুল থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত পুরো এলাকার অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। এলাকায় মাদকের কারবারের মূল হোতা এয়াকুব বলেও অনেকে দাবি করেন। বাকলিয়া থানায় এয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়।
বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমেদ ইলিয়াস বলেন, গত নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার দায়ে বাকলিয়া থানায় আমি বাদি হয়ে একটি মামলা করি। তারপর থেকে আমাকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে এয়াকুব আলী। আমার ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এয়াকুব আওয়ামী লীগের কেউ নয়, সে নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা দাবি করে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করেলোকাল পুলিশকে ম্যানেজ করে এলাকায় নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এয়াকুব খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২০১৫ সালে প্রায় ২০ কোটি টাকা ধার নেয়। পরে বিভিন্ন অজুহাতে সে টাকা আর ফেরত দেয়নি। এসব টাকার মূল লেনদেন হয় খাতুনগঞ্জের ইউনিয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে। আর একাউন্টটি তার ভাই জসিম উদ্দিনের নামে খোলা। তারা তিন ভাই এসব অপকর্মের সাথে জড়িত বলে উল্লেখ করেন এ আওয়ামী লীগ নেতা।
বিষয়টি নিয়ে পূর্ব বাকলিয়া ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হারুন উর রশীদ পূর্বদেশকে বলেন, এয়াকুব কি করছে না করছে সেটি সবাই জানে। বর্তমানে দেশের অবস্থা কেমন তা তো আপনি বুঝতেই পারছেন। পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে তার সম্পর্কে জানতে পারবেন।