দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন অতিষ্ঠ

51

‘বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী যে ধরনের বিদ্রæপ ও রসিকতা করে আসছেন তা নজিরবিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রাম-৮ নির্বাচনী এলাকা বিএনপির উদ্যোগে গতকাল রবিবার বিকালে নগরীর বাদশা কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য ডা. শাহাদাত এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের কট‚ক্তিমূলক বক্তব্যের দৃষ্টান্ত সভ্য সমাজ ও দেশে একেবারেই বিরল। বেগম জিয়া খুবই অসুস্থ অথচ এই অমানবিক নির্দয় সরকার তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করার মাধ্যমে কারাগারে হত্যার চেষ্টা করছে। সরকারের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। তাই জাতীয়তাবাদী ও দেশপ্রেমিক সর্বস্তরে জনতাকে আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন অতিষ্ঠ। শ্রমিকের প্রকৃত আয় কমে গেছে। কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেনা। ঘুষ, দুর্নীতি চাঁদাবাজির শিকার দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। প্রতিবাদ করলেই প্রতিদিন গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে দেশের সাধারণ জনগণ।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্দ করে দিচ্ছে। সরকারের মুনাফা লোভী সিন্ডিকেটের কারণে কৃষক তার উৎপাদিত ধানের প্রকৃতমূল্য না পেয়ে পাকা ধানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে নিজ জমিতে আগুন লাগানোর ঘটনা এটি প্রথম। বর্তমান সরকারের হাতে শেয়ার বাজার, ব্যাংকিং ব্যবস্থার মত কৃষিখাতও ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। দুর্নীতি ও লুটপাটের প্রতিবাদী কণ্ঠ বেগম জিয়াকে সরকারের নির্দেশে সাজা দিয়ে কারান্তরিন করে রাখা হয়েছে। সরকারের সমস্ত জুলুম নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে কারগার থেকে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
চট্টগ্রাম-৮ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি প্রার্থী ও নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলীর পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান স্বপন, মাহবুবুল আলম, নাজিম উদ্দিন, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস.এম. আবুল ফয়েজ, জাহেদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক ইসকান্দর মির্জা, মোস্তাক আহমদ, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, জিএম আইয়ুব খান, নগর বিএনপির সম্পাদক ডা. এস.এম. সরওয়ার আলম, মো. বখতেয়ার, বায়েজিদ থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল হারুন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জসিম, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, বোয়ালখালী পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও মেয়র হাজী আবুল কালাম আবু, বিএনপি নেতা সৈয়দ জাকারিয়া সেলিম, আব্দুল আজিজ, আবু মুছা, হাজী ইসহাক চৌধুরী, হাজী নুরুল হক, ইসহাক কোম্পানী, আব্দুর রহিম, আকতার হোসেন মঞ্জু, শাহেদা বেগম, রেজিয়া বেগম মুন্নি, নুরুন্নবী চৌধুরী, শহীদুল্লাহ চৌধুরী, হাজী মো. ইলিয়াছ, জানে আলম জিকু, মো. বেলাল, এড. এফ এ সেলিম, এস.এম. আবুল কালাম আবু, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, কামরুল ইসলাম, মো. হামিদ, শহীদুল আলম শহীদ, মোশাররফ হোসেন, এরশাদ হোসেন, সেলিম উদ্দিন রাসেল, জিয়াউর রহমান জিয়া, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আসাদুর রহমান টিপু প্রমুখ।