দোকান কর্মচারীকে এসিড নিক্ষেপ ৬ দিন পর মৃত্যু

6

পূর্বদেশ ডেস্ক

পূর্ব শত্রুতার জেরে মোহাম্মদ সাদেক (২৫) নামে সাতকানিয়ায় দোকানের এক কর্মচারীকে এসিড নিক্ষেপে ঝলসে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার ৬ দিন পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই যুবকের। ঘটনাটি গত ২৯ জুন সাতকানিয়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মালেক মেম্বারের ইটভাটা এলাকায়। গত সোমবার চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। খবর বাংলানিউজের
মোহাম্মদ সাদেক, লোহাগাড়া থানার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সড়াইয়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে।
সাদেকের বড় ভাই মো. শাহজাহান বলেন, আমার ভাই একটি দোকানে চাকরি করতো। গত ২৯ তারিখ রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার পথে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার পথ আটকে ধরে এসিড নিক্ষেপ করে। এসময় তার সঙ্গে থাকা ৯৫ হাজার ৭০০ টাকা নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়দের সহায়তা তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠিয়ে দেয় চিকিৎসকরা। হাসপাতালে ৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার সন্ধ্যায় প্রাণ হারায় সে।
কারো সঙ্গে পূর্ব শত্রæতা ছিল কি-না এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার ভাই যে দোকানে কাজ করতো তার পাশের দোকানের মালিকের সঙ্গে ঝামেলা ছিল। কিছুদিন আগে আমার ভাই তার মালিকের পক্ষ হয়ে তাদের সঙ্গে বাকবিতÐাও করে। তখন তারা আমার ভাইকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এছাড়াও সে মারা যাওয়ার সময় নিজাম ও পারভেজ নামে দুই জনের নাম বলে গেছে। যারা তাকে এসিডে ঝলসে দিয়েছে। সাদেক মাত্র ৪ মাস আগে বিয়ে করেছে বলেও জানান তিনি।
পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক বলেন, এসিড নিক্ষেপে দগ্ধ হয়ে আমার ইউনিয়নে মোহাম্মদ সাদেক নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ বিকালে বাড়িতে আনা হয়। মাগরিবের নামাজের পরে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মামলা করার জন্য পরিবারের সদস্যদের সাতকানিয়া থানায় পাঠানো হয়েছে।
সাতকানিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, এসিড নিক্ষেপে দগ্ধ হয়ে মোহাম্মদ সাদেক নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ দাফন শেষে পরিবারের সদস্যরা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানতে পেরেছি।