দেশে একদিনে শনাক্ত মৃত্যু দুটোই কমেছে

22

 

দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত রোগী দুটোই আগের দিনের চেয়ে কমেছে। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৩৭ জন রোগী শনাক্তের কথা জানানো হয়েছে। এই সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ৮০০ এর বেশি কম। শুক্রবার দেশে ২ হাজার ৪৫৪ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল। নতুন ১ হাজার ৬৩৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২৪ হাজার ৪৮৬ জনে। শনিবার ৩৯ জন কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আগের দিন সংখ্যাটি ছিল ৪৩। আরও ৩৯ জনকে নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৭১ জন। সরকারি হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ২ হাজার ১০৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন; এ পর্যন্ত সুস্থ মোট হয়েছেন ৭ লাখ ৬৪ হাজার ২৪ জন। আগের দিনের তুলনায় কমলেও ভারতে উদ্ভূত করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ধরনের দাপটের মধ্যে এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেশ বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, আগের (৩০ মে-৫ জুন) থেকে গত (৬ জুন-১২ জুন) সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৭ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ে মৃত্যু বেড়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষা ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। সুস্থতার হার বেড়েছে ২১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। এই পর্যন্ত পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। খবর বিডিনিউজের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫১০টি ল্যাবে ১১ হাজার ৫৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৬১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৬৩টি নমুনা।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ; তা আট লাখ পেরিয়ে যায় এ বছর ৩১ মে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১১ জুন শুক্রবার তা ১৩ হাজার ছাড়ায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ২৬ জন পুরুষ আর নারী ১৩ জন। তাদের ৩৩ জন সরকারি হাসপাতালে, ৩ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ৩ জন বাড়িতে মারা যান।
মৃতদের মধ্যে ২০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, এবং ৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১০ জন ঢাকা বিভাগের, ৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ১১ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের, এবং ২ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ পর্যন্ত মৃত ১৩ হাজার ৭১ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৪০৬ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৬৬৫ জন নারী।