দেশে অর্ধেকের বেশি নারীর বাল্যবিয়ে হয়

7

পূর্বদেশ ডেস্ক

বাংলাদেশে অর্ধেকের বেশি নারীর বাল্য বিয়ে হয় বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
মুজিবুল হক চুন্নু তার প্রশ্নে করোনাকালীন সময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, অসচ্ছল পরিবারের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার হার আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি। মেয়েশিশুদের জন্য সরকারের পরিকল্পনা জানতে চান তিনি।
জবাবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ‘মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯’ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে বাল্য বিবাহের হার ১৫ বছরের নিচে ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ১৮ বছরের নিচে ৫১ দশমিক ৪০ শতাংশ। প্রতিমন্ত্রী বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ১৭টি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ৬৪টি জেলায় মনিটরিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১২ হাজার ১৫০ বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে বলে সিমিন হোসেন রিমি জানান।
সরকারি দলের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১২ হাজার ১৫০টি বাল্যবিয়ে রোধ করা গেছে। একই সময়ে বাল্যবিয়ে রোধে ৪৩ হাজার ৭৭৭টি উঠান বৈঠক করা হয়েছে।
সরকারদলীয় এমপি মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেন, জীবন বাঁচাতে সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় ৫ লাখ ৯ হাজার ৮৭০ জন শিশুকে সাঁতারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।