দেশের প্রথম নারী বডি বিল্ডার মাকসুদা চট্টগ্রামের

72

ক্রীড়া ডেস্ক

দেশের প্রথম নারী হিসেবে কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত চট্টগ্রামের মেয়ে বডিবিল্ডার মাকসুদা আক্তার মৌ। ভারতের মুম্বাইয়ে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে আইএইচএফএফ অলিম্পিয়া অ্যামেচার বডিবিল্ডিং চ্যাম্পিয়নশিপ। এই প্রতিযোগিতায় ‘ওমেন ফিজিক’ শ্রেণিতে অংশ নেবেন বাংলাদেশের মাকসুদ মৌ, চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বাংলাদেশের একটি মেয়ে বডিবিল্ডিং করছে’ বিষয়টিকে অনেকেই সরলভাবে নিতে পারেননি। অনেকে কটূক্তির চোখেও দেখেছেন। তবে এসবে তোয়াক্কা না করে নিজের লক্ষ্যে অটুট থেকেছেন বাংলাদেশের নারী বডিবিল্ডার মাকসুদা আক্তার মৌ।
মাকসুদা তার স্বপ্নের পথে হাঁটা শুরু করেছেন। শরীর গঠন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। এরই মধ্যে জিতেছেন জাতীয় শরীর গঠন প্রতিযোগিতায়। স্বর্ণ জিতেছেন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের নারী ইভেন্টের উন্মুক্ত শ্রেণিতে। তিনি এখন অপেক্ষায় দেশের প্রথম নারী হিসেবে কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের।
কানাডায় পাবলিক হেলথে মাস্টার্স করা মাকসুদা পতেঙ্গা নৌবাহিনী স্কুল ও কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে টেক্সটাইল ডিজাইনের ওপর পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করতে ২০১৭ সালে যান ভারতের পাঞ্জাবে। পড়াশোনার পাশাপাশি সেখানে একসময় নিয়মিত যেতেন জিমে। যা রীতিমতো নেশায় পরিণত হয় তার। এরপর পড়াশোনা করেন শরীরচর্চা নিয়ে। পরে স্বপ্ন বানিয়েছেন তিনি বডি বিল্ডিংকেই।
সমাজের কঠোর প্রতিবন্ধকতার বেড়াজাল ভেঙে বডিবিল্ডিংয়ে আসা মাকসুদা এরই মধ্যে হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের অনেকের অনুকরণীয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাত্র পথচলা শুরু মাকসুদার। তিনি স্বপ্ন দেখেন, সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বিশ্বের বুকে এক দিন নারী বডিবিল্ডিংয়ে বাংলাদেশের পতাকা ওড়াবেন।
প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নিতে পেওে তিনি খুবই রোমাঞ্চিত। মুম্বাই থেকে মাকসুদা গণমাধ্যমকে জানান, প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে খুব ভালো লাগছে আমার।’ ‘আমাদের দেশে মেয়েদের বডিবিল্ডিং নিয়ে এখনো একটা ট্যাবু আছে। সেই ট্যাবু ভাঙতে পারলে এই সেক্টরে নারীরাও ভালো করতে পারবে। আমি চেষ্টা করছি, যাতে আমাদের দেশের অন্য মেয়েরাও বডিবিল্ডিংয়ে আসতে পারেন।’