দুয়েক মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে সার্কিট বেঞ্চ হবে : তথ্যমন্ত্রী

10

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আইনজীবীরা সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে এবং সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। চট্টগ্রামের আদালত প্রতিষ্ঠার পর থেকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ও আইনের শাসন অক্ষুণ্ণ রাখতে চট্টগ্রাম বারের সদস্যরা যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছেন। উপমহাদেশের কয়েকটি সমৃদ্ধ বারের মধ্যে চট্টগ্রাম বার অন্যতম। স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিসহ সকল অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিল চট্টগ্রাম বার। যেখানে মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে সেখানেই চট্টগ্রাম বারের আইনজীবীরা জীবনবাজি রেখে লড়াই করে অধিকার আদায় করেছেন। ঐতিহ্য ও বীরত্বের ইতিহাসে যুক্ত চট্টগ্রাম জেলা বার। চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইনমন্ত্রী আমাকে নিশ্চিত করেছেন আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে সার্কিট বেঞ্চ হবে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর জিইসি কনভেনশনে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ হাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সদস্য এএসএম বদরুল আনোয়ার, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির, চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভূঞা, মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছা, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আবদুন নুর দুলাল প্রমুখ। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও আইনজীবী হতে চেয়েছিলেন। তিনি আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর বাবাও চাইতেন তিনি আইনজীবী হোক। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী যারা পড়েছেন তারা জানেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বহিষ্কার করার কারণে তিনি আইনজীবী হতে পারেন নাই।
স্বাগত বক্তব্য এএইচএম জিয়াউদ্দিন বলেন, আপনারা আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আপনাদের সেবা করার জন্য আমরা কার্যনির্বাহী পরিষদ সর্বদা প্রস্তুত আছি। কোন প্রকার লোভ লালসা আমাদেরকে আমাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুতি করতে পারবে না। আইনজীবীদের স্বার্থ রক্ষায় এবং বিচার প্রার্থী জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার পাওয়ার সকল পরিবেশ তৈরি করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। আইনজীবী সমিতি ও বিজ্ঞ সদস্যদের সুনাম, মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে সমিতির নতুন ভবন নির্মাণ হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদুর রহমান রিটু এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সমিতির সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক লায়লা নুর। অভিষেক অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিদায়ী সভাপতি মুহাম্মদ এনামুল হক, কার্যনির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ শফিক উল্লাহ্, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আজিজ উদ্দীন (হায়দার), অর্থ সম্পাদক এম সালাহ্উদ্দিন মনসুর চৌধুরী (রিমু), পাঠাগার সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক লায়লা নুর, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. মেজবাহ উদ্দিন (দোয়েল), নির্বাহী সদস্য যথাক্রমে মো. তৌহিদুল বারী চৌধুরী, এ এন এম রোকনুজ্জামান (মুন্না), মো. খোরশেদ আলম, মো. মোস্তফা করিম, তৌহিদুল ইসলাম, মো. আবদুল্লাহ-আল-মামুন, বিলকিস আরা (মিতু), আইনুল কামাল, শ্যামল চৌধুরী, সেলিনা আক্তারসহ বিদায়ী পরিষদের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ এবং সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, বিচারকবৃন্দ, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নির্বাচিত পরিষদকে ফুল দিয়ে অভিষিক্ত করেন এবং বিদায়ী পরিষদকে নব-নির্বাচিত পরিষদের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথিকে সমিতির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্বরূপ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।