দুষ্প্রাপ্য মণিরাজ ফুল মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে

158

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ফুটেছে দুষ্প্রাপ্য মণিরাজ ফুল। উপজেলার ১ নম্বর লোগাং ইউনিয়ন পরিষদের মধুমঙ্গল কার্বারি পাড়ার মনচন্দ্র চাকমার বাড়িতে ফোটা মণিরাজ ফুল দেখতে ভিড় জমিয়েছেন প্রকৃতিপ্রেমিরা। প্রয়াত প্রেমদাশ চাকমার সন্তান, পঁচাত্তর বছর বয়সী মনচন্দ্র চাকমা জানান, প্রায় চৌদ্দ বছর আগে পানছড়ি বাজার থেকে পঁচিশ টাকায় কেনা গাছটিতে গত ১৭ এপ্রিল প্রথম ফুল ফুটে। প্রথমবারের মতো নিজ চোখে মণিরাজ ফুল দেখে মনে প্রশান্তি ও আত্মতৃপ্তি এসেছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ফুলটি ফোটার পর প্রথমে কিছুদিন সাদা রঙয়ের থাকলেও পরে এটি খয়েরি রঙ ধারণ করবে। ফুলটি দুই মাস পর্যন্ত থাকবে এবং পরে ফলে পরিণত হবে।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মুর্তজ আলী বলেন, এটি একটি নগ্নবীজী উদ্ভিদ। এর প্রকৃত নাম সাইকাস (বৈজ্ঞানিক নাম- ঈুপধং পরৎপরহধষরং)। এ গাছের ফুলের ওষধিগুণ রয়েছে। এর ফুল পেটের সমস্যা এবং ক্ষুধা-মন্দার চিকিৎসায় ভালো কাজ করে।
পানছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বকুল চন্দ্র চাকমা, মধুমঙ্গল পাড়া এলাকার বৃদ্ধ পূর্ণমোহন চাকমা, মুক্তলতা চাকমারা জানান, তারা জীবনের প্রথমবারের মতো মণিরাজ ফুল দেখেছেন। ফুলগুলো অনেকটা সাপের ফনার মতো। মনিরাজ গাছ দুষ্প্রাপ্য না হলেও এর ফুল দুষ্প্রাপ্য। সব গাছে আবার ফুল ফোটে না। তাই মনিরাজ ফুল ফোটাকে সৌভাগ্য হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। একটি পূর্ণবয়স্ক গাছের ঠিক মাথার মধ্যে গোলাকার দৃষ্টিনন্দন মোচা বের হয়। মোচা থেকে ফুলটি ফোটার পর প্রথমে সাদা রঙয়ের থাকলেও দিন দিন এটি খয়েরি রঙ ধারণ করে। ফুল থেকে যখন ফলটি হয় তখন তা দেখতে বড় কাঁঠাল আকৃতির, যা কিছুটা শরিফা ফলের মতো ছোট ছোট কোষে ভাগ করা থাকে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
তবে সহজেই একটা থেকে অন্যটা কোষ আলাদা করা যায়। এটা নানান রোগের কাজ করে বলে অনেকে জানান। পাহাড়ের বিভিন্ন বাজারে এটির কোষ বিক্রি করতে দেখা গেলেও গাছে ফোটা মণিরাজ বর্তমান সময়ে তেমন একটা দেখা যায় না।