হাটহাজারী প্রতিনিধি
রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে ২৫ দিন আগে নয় বছর বয়সী অপহৃত এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৭ এর পতেঙ্গা ক্যাম্পের সদস্যরা। গত শনিবার সকালে সাতকানিয়া নলুয়া ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন পতেঙ্গা কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান। এর আগে অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নারী ও শিশু পাচারকারী চক্রের হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের মৃত তোফায়েল আহমেদের পুত্র আবু সুফিয়ান রানা (৩১) ও তার স্ত্রী শারমিন কাওসার হান্না (২২) এবং একই উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়নের মৃত আবুল হোসেনের পুত্র নুরুজ্জামান (৫৫)।
অভিযান পরিচলনাকারী কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, ভুক্তভোগীর বড় বোনের সঙ্গে দুবাই প্রবাসী মো. শহিদুল করিমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর শহিদুল স্ত্রীকে নিয়ে দুবাই চলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি স্ত্রীকে বিক্রি করে দেন। এরপর তিনি শ্যালিকাকে দুবাই পাচারের পরিকল্পনা করেন। তিনি আরও জানান, গত ৩ জানুয়ারি ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে অপহৃত হন। তার পরিবার খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারে এ ঘটনায় শহিদুল জড়িত। পরে তর মা রাজধানীর শাহ আলী থানায় বাদী হয়ে শহিদুলসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে র্যাব।
একপর্যায়ে অপহরণের ঘটনায় জড়িত দুজনের অবস্থান নগরের হালিশহর থানায় শনাক্ত হয়। গত শুক্রবার রাতে থানার চৌধুরী পাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে আবু সুফিয়ান রানা ও তার স্ত্রী শারমিন কাওসার হান্নাকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়ন থেকে নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুজ্জামানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন সকালে সাতকানিয়ার নলুয়া ইউনিয়ন থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা অসহায় নারীদের ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দুবাই পাচার করে। ভুক্তভোগী ছাত্রীকে সেখানে পাচারের উদ্দেশ্যে তারা অপহরণ করে। এজন্য ওই ছাত্রীকে চট্টগ্রাম ও আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। গ্রেপ্তার তিনজনকে শাহ আলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
