দুর্ভোগের দুর্নাম ঘুচিয়ে চট্টগ্রামের স্বপ্নযাত্রা শুরু নতুন বছরে

77

ওয়াসিম আহমেদ

কর্ণফুলীর গা ঘেঁষে দেশের প্রধান বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম। বিগত দশকে চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে ইকোনোমিক জোন, বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট, গভীর সমুদ্র বন্দর, দেশের প্রথম ট্যানেল সড়ক গড়ে উঠছে। এতো উন্নয়নযজ্ঞের মাঝেও বর্ষার জলাবদ্ধতায় তলিয়ে যায় পুরো নগর।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) জলাবদ্ধতা নিরসনের মেগা প্রকল্প শেষ হওয়ার পথে, বাকি ২১ খাল নিয়ে আলাদা প্রকল্প নিয়ে এগোচ্ছে সিটি করপোরেশনও। সমন্বিতভাবে খাল-নালা সংস্কারের কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতামুক্ত নগরীতে বর্ষা দেখার স্বাদ চট্টগ্রামবাসীর। লাইফলাইন খ্যাত কর্ণফুলীর পাড়ে (নগরপ্রান্তে) দখলদারিত্বের দাপুটে অবস্থানে দুঃখের কারণ হলেও ওপারে ট্যানেল সড়কের কাজ শেষ হওয়ার আনন্দ কড়া নাড়ছে।
সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ট্যানেল চালু হওয়ার কথা রয়েছে। নগরে পানির চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে উৎপাদন বাড়িয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। দীর্ঘদিনের আফসোসে ঠাসা স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কাজও শুরু হতে যাচ্ছে। বছরজুড়ে আলোচনায় ছিল উন্মুক্ত খাল-নালায় মানুষের মৃত্যু। শেষ পাঁচ মাসে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। একজনের লাশের খোঁজে পাওয়া যায়নি আজও। ওয়াসার সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি আর চসিকের প্রকল্প নির্ভর উন্নয়ন ভাবনায় ভাঙা সড়কের আয়ুষ্কালের সাথে বেড়েই চলেছে প্রাণঘাতী দুর্ভোগ। তবুও টনক নড়ছে না সেবাংস্থাগুলোর। এর মাঝে অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা নগরের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকা প্রকল্প নতুন দুর্ভোগ ঘুচানোর অবলম্বন হয়ে দাঁড়াবে। এমনটা আশা সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে আদালত পাড়ায় আইনজীবীদের দখলে থাকা ‘বৈধ-অবৈধ’ ভবন সরানো আর গিঞ্জি এলাকা থেকে জেলা প্রশাসনসহ সরকারি অফিস স্থানান্তরের তর্ত-বিতর্ক তো ছিলই। বিতর্কের মধ্যেও স্বস্তির খবর ছিল কর্ণফুলীর হামিদ চরে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ গড়ে তোলার প্রস্তাব। নকশা তৈরির কাজও শেষ হয়েছে। চলতি বছরেই কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে ৪৪টি সরকারি অফিসের দপ্তর হবে একসাথে।

কর্ণফুলী দখলের দুঃখ ও টানেলের আনন্দ : নদীর তলদেশ দিয়ে সড়ক। দেশের প্রথম টানেল সড়ক হচ্ছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে দুই লেন সড়ক খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। একই সাথে ২২ সালের মধ্যে টানেলের চার লেনের সড়কের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা ধরে এগুচ্ছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা।
টানেলটি হলে কি লাভ ? এ নিয়ে প্রকল্প এলাকার সাংসদ এমএ লতিফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে চট্টগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু বিনিয়োগ ধরে রাখার মতো জমি এখন আর চট্টগ্রাম শহরে নেই। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী নদীর ওপারকে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের হাব করতে টানেলটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
টানেল নির্মাণকে কেন্দ্র করে কর্ণফুলী নদীর ওপারে বিনিয়োগ শুরু করেছে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। বর্তমানে কর্ণফুলী নদীর ওপারে আংশিক চালু রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড। পাশাপাশি বিচ্ছিন্নভাবে কিছু শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে। টানেল নির্মাণের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সরকার আনোয়ারায় একটি ইকোনমিক জোন স্থাপন করছে। পাশাপাশি চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ ‘চায়না ইকোনমিক জোন’ বাস্তবায়িত হচ্ছে। একইসাথে বাঁশখালীতে দেশের সর্ববৃহৎ ইকোনোমিক জোন ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করবে ট্যানেলটি।

অপেক্ষা জলাবদ্ধতা প্রকল্পের সমাপ্তির : মসৃণ সিরাজউদ্দোলা সড়কের বাইপাস সড়ক দিদার মার্কেট দিয়ে ভেতরে গেলে দেখা মেলে পুরো উল্টো দৃশ্যপট। ওয়াসা কাটাকাটি আর ভাঙা সড়কে হোঁচট খাওয়ার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। আশপাশের নিরাপদ হাউজিংসহ বেশ কয়েকটি আবাসিকের সড়কের বেহাল দশা। এই যেন প্রবাদ বচন, ‘বাইরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট’ এর সত্যিকারের উদাহরণ।
এ শুধু ১৭ নং ওয়ার্ডের চিত্র নয় এটি নগরীর প্রায় সবকটি ওয়ার্ডের ভেতরের সড়ক, অলিগলির চিত্র এটি। একেতো ওয়াসা কাটছে, অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের প্রকল্প অনুমোদন হলে মেরামত করার চিন্তায় সময় পার করছে। মাঝের সময়টায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীর।
সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের সূত্র বলছে, গত পাঁচ বছরে নিজস্ব অর্থায়ন ছাড়াও অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা সড়ক উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দ পেয়েছে সংস্থাটি। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ প্রকল্পই শেষের দিকে। তবুও কেন সড়কের বেহাল দশা? এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে না পারলেও ওয়াসাসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার রাস্তায় কাটাকাটিকে দায় করছেন দায়িত্বশীলরা।
সড়ক মেরামত ও পাকা সড়কের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরিতে সিটি করপোরেশনের দক্ষতা রয়েছে মন্তব্য করে চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী পূর্বদেশকে জানান, সিটি করপোরেশন সড়ক মেরামত করতে যান ও জন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে বদ্ধপরিকর। টেকসই সড়ক তৈরি করতে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে করপোরেশন। একটি ওয়াসার স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কারণে সড়ক কাটাকাটি। একইসাথে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও বিটিসিএল উন্নয়ন কাজে রাস্তা কাটছে। তাই আমরা সড়ক মেরামত করলেও জনগণ দুর্ভোগমুক্ত হচ্ছে না। মূল সড়কে কাটাকাটি কমলেও অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই মূল সড়ক থেকে ভেতরের সড়কগুলোতে দুর্ভোগ বেশি হচ্ছে। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো, নগরীর সড়কগুলো ২০ থেকে ২৫ টনের গাড়ি চলে কিন্তু আমার সড়ক তৈরি করছি ৭ থেকে ৮ টনের। স্বাভাবিকভাবে সক্ষমতার বেশি ওজন সইতে গিয়ে সড়ক তাড়াতাড়ি নষ্ট হচ্ছে। এই দুটো সংকট থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি। ২২ সালে আমাদের আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ৩৪টি ফুটওভার ব্রিজ হবে, সড়কের নেটওয়ার্ক কাঙ্খিত লেভেলের উন্নতি হবে। তাই নতুন বছরে সংকট কাটিয়ে সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা থাকবে আমাদের।
এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩৬টি খাল ও ৩০২ মিটার নালা নিয়ে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। প্রকল্পের কাজ প্রায় ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। পুরোটা শেষ হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে দাবি তাদের।
অন্যদিকে প্রকল্পের বাইরে থাকা ২১ খাল ও সাড়ে ৬শ মিটার নালা নিয়ে আলাদা প্রকল্প নিচ্ছে সিটি করপোরেশন। এছাড়া আসন্ন বর্ষাকে টার্গেট করে খালা-নালা পরিষ্কার করছে সিটি করপোরেশন। এ অভিযানে পরিষ্কার হবে ৫৯৮টি ছোট-বড় খাল-নালা। সিডিএ খাল সংস্কার ও চসিকের নালা পরিষ্কারের সমন্বয় সাধন করতে এ মাসের শুরুতে কঠিন বার্তা দিয়ে সমন্বয় সভার ডাক দিয়েছে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

নতুন বছরেই উৎপাদনে যাচ্ছে বাঁশখালী পাওয়ার প্ল্যান্ট : বেসরকারি খাতে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১ হাজার ২২৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যাচ্ছে নতুন বছরেই। এটি বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প। এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এসএস পাওয়ার লিমিটেড ও চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। চাহিদার তুলনায় চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উৎপাদনও বেড়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে চট্টগ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা আরও নিখুঁতভাবে পূরণ করা সম্ভব হবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

আদালত পাড়া বিতর্ক : চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের মধ্যে বিরোধ গেল ছয়মাস ধরে তুঙ্গে। সম্পর্কের তিক্ততার পারদ কখনো বেশ চড়েছে, আবার কখনো খানিকটা নেমেছে। চলতি বছর বিষয়টি বেশ আলোচনার জন্ম দেয় চট্টগ্রামসহ সারাদেশে। সম্পর্কের এ তিক্ততা একেবারে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এর সর্বশেষ ফল হিসেবে কোর্ট হিলের আদালত ভবনসংলগ্ন ১ দশমিক ৮ একর ভূমিতে নতুন করে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ না করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরিবেশ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মো. নুরুল্লাহ নুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি গত ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। এতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের গত ২৮ ডিসেম্বরের নির্দেশনা অনুযায়ী, চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ের নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য রক্ষায় অপরিকল্পিত ও অনুমোদনহীন স্থাপনাসম‚হ অপসারণ করতে তিনটি নির্দেশনা রয়েছে। বিরোধ গড়িয়েছে আদালত অবধি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোর্ট হিল এলাকায় ভবন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠিটি আমরা পেয়েছি। নির্দেশনায় আন্দরকিল্লা মৌজার টিলা শ্রেণির ওই ভূমিতে নতুন করে স্থাপনা নির্মাণে নিষেধ করা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন, এ নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কথা বলার কোনো এখতিয়ার নেই। এরপরও তাদের কিছু বলার থাকলে, তারা অফিসিয়ালি (দাপ্তরিকভাবে) জানাতে পারে। অফিসিয়ালি তারা কোনো কিছু জানালে তা বিবেচনা করে আমরা প্রয়োজনমতো মুভ (পদক্ষেপ) করবো।
মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম : উন্নয়নে এশিয়ার টাইগার হিসেবে খ্যাত মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ার আদলে নির্মিত হতে যাচ্ছে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’। ১১০ একর জায়গা নিয়ে নির্মিত হবে এসব স্থাপনা। ঐতিহ্যবাহী কোর্ট হিল রক্ষায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সরিয়ে নেওয়া হবে সেখানে। প্রায় ৪৪টি সরকারি অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হবে সেখান থেকে। একই ছাদের নীচে সেবা পাবেন জনসাধারণ। দেশের প্রথম সমন্বিত এ সরকারি গুচ্ছ অফিস নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কর্ণফুলী নদীর তীরে কালুরঘাট সেতুর এক কিলোমিটার পশ্চিমে বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির পাশের ৭৩ দশমিক ৪২ একর জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ করেছে জেলা প্রশাসন। নগরের চান্দগাঁও (বন্দর) মৌজার বিএস ১ নম্বর খাস খতিয়ানের বিএস ১২১ দাগের ৭৩ দশমিক ৪২ একর জায়গায় সরকারি সমন্বিত এ অফিস গড়ে উঠবে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, কর্ণফুলী নদী লাগোয়া হামিদচরে বর্তমানে জেলা প্রশাসনের অধীন ৭৩ দশমিক ৪২ একর জমি রয়েছে। এর বাইরে আশপাশের জমিগুলো নিয়ে মামলা রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান হলে প্রকল্পের মোট জমির পরিমাণ ১১০ একরে দাঁড়াবে। শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দ‚রে গড়ে উঠছে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ নামের এ প্রকল্প। এখানে ৪৪টি সরকারি দফতর ছাড়াও সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, সার্কিট হাউস, সরকারি ট্রেনিং সেন্টার, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার, শপিংমল, বহুতল কার পার্কিং, সরকারি স্কুল-কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, পরিবহন পুল, পেট্রল পাম্প, স্মৃতিসৌধ, নভোথিয়েটার ও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা থাকবে। ১৫০ বছরের প্রাচীন কোর্ট হিলের প্রতœতাত্তি¡ক গুরুত্ব রক্ষা সম্ভব হবে। ঐতিহ্যবাহী পাহাড়টি ঝুঁকিমুক্ত করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
এদিকে প্রকল্পের নকশা পরিবর্ধন ও সংযোজনের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান। তিনি বলেন, গত মাসেই প্রকল্পের নকশা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা কিছু মতামত দেওয়ায় এবং সে অনুযায়ী পরিবর্ধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। আশা করছি, আগামী জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরিবর্ধিত ও সংযোজিত নকশা উপস্থাপন করতে সক্ষম হব।