দুর্ঘটনার আশংকা বোয়ালখালীতে রেললাইনে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা ও সিএনজি স্ট্যান্ড

13

বোয়ালখালী উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র গোমদন্ডি বুড়িপুকুর পাড় সংলগ্ন স্থানে রয়েছে একাধিক ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট। সে সাথে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ মাছের, তরিতরকারী,বিভিন্ন মৌসুমি ফল, প্রসাধন, কসমেটিক ও জুতার ভ্রাম্যমাণ দোকান। এ ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো কানুনগোপাড়া সড়ক ও বাংলাদেশ রেলওয়ের রেললাইন দখল করে এসব পণ্যসামগ্রীগুলো বিক্রী করলেও দেখার যেন কেউ নেই। কিছু দিন আগে উপজেলা প্রশাসন রেললাইনের দুপাশের ভাসমান-ভ্রাম্যমাণ দোকান অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। অভিযানের এক সপ্তাহ পর দেখা যায়, ভ্রাম্যমাণ দোকানের পণ্যসামগ্রী গুলো দোকানীরা কিছু সময়ের জন্য সরিয়ে নিলেও এখন কৌশল জনিত কারনে দোকানের ভ্যান গাড়ি ও আসবাবপত্র সহ অনেক জিনিস রেললাইনের আশেপাশে রেখে চলে গেছে।
রেললাইনের বিট ঘেষে ভ্যানগাড়ি ও সিএনজিচালিত অটোরিক্সা রেখে রেললাইনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। রেললাইনে পণ্য বিক্রী করার সময় যদি নগরী থেকে বা দোহাজারী থেকে খুব দ্রæত গতিতে ট্রেন চলে আসে তাহলে ব্যবসায়ীরা তাড়াহুরা করে রেললাইনের পণ্য নামাতে গিয়ে অনেক সময় তীব্র যানজট ও মানুষের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। ওই সময় কিছু পণ্য তাড়াহুরা করে সরিয়ে নিলেও কিছু পণ্য সামগ্রী রেললাইনের উপর থেকে যায়। যা ট্রেন বা ফার্নেস তৈলবাহী ট্রেন চলে যাওয়ার সাথে সাথে ব্যবসায়ীরা পুনরায় ফুটপাত বা সড়ক দখল করে ব্যবসা করলেও যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
এ সময় রেললাইনের দায়িত্বে থাকা গেইটম্যান যেন ব্যবসায়ীদের কাছে অসহায়। অথচ ট্রেন আসার ১৫-২০ মিনিট আগে রেললাইনের আশে-পাশের লোকজন ও ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করে দেন গেইটম্যান। কিন্তু কে শুনে কার কথা ।
তাই রেললাইনে অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসব ঝুঁপড়ি বা অবৈধ স্থাপনা একদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও অন্যদিকে বোয়ালখালী পৌরসভার সৌন্দর্য নষ্ট করছে প্রতিদিন।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসন ও বোয়ালখালী পৌরসভা সহ বাংলাদেশ রেলওয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বিকাশ নাথ
বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।