শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশের পূজামন্ডপগুলোর পুরোহিত বা ঠাকুর এবং পূজামন্ডপে আগত পূজারিদের জন্য মাস্ক পরিধান অপরিহার্য করা হয়েছে। এছাড়া, অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা-উদযাপনের জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হচ্ছে। সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিবের (সমন্বয় ও সংস্কার) স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তির উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।
এতে বলা হয়, যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে আগামী ১১ অক্টোবর (আজ) হতে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব জনিত কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ পূজামন্ডপে আরোপিত বিধি-নিষেধ বিশেষ করে মাস্ক পরিধান আবশ্যিকভাবে অনুসরণীয়।
এছাড়াও যে সকল মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে, সেগুলোর প্রবেশ পথে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রয়োজনে সব পূজামন্ডপের প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা করতে হবে। খবর বাসসের।
রাজধানীসহ সারা দেশের বড়-বড় মন্দিরে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা-অর্চণার অনুরোধ করে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিমা বির্সজনের ব্যবস্থা করতে হবে। আযান ও নামাজের সময় মসজিদের পার্শ্ববর্তী পূজামন্ডপগুলোতে পূজা চলাকালে ও বিসর্জনকালে শব্দযন্ত্রের ব্যবহার সীমিত রাখা এবং উচ্চস্বরে শব্দযন্ত্র ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক সকল ধর্মীয় রীতি-নীতি, পূজা-অর্চনা, মাঙ্গলিক কার্যাদি ও প্রতিমা বিসর্জনসহ অন্যান্য কার্যক্রম যথাযথভাবে প্রতিপালন করা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী এবং পূজামÐপ পরিচালনা কমিটিকে এসব নির্দেশনা বাস্তায়নের জন্যও ধর্ম মন্ত্রণারয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।