দুর্গোৎসবে উদ্ভাসিত হোক সবার জীবন

5

 

হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হল দুর্গাপূজা বা দুর্গোৎসব, দক্ষিণ এশিয়ায় এটাকে বার্ষিক মহোৎসব হিসাবে ধরা হয় বলে এ পূজাকে শারদীয় উৎসব ও বলা হয়। রামায়ণ অনুসারে অকালে বা অসময়ে দেবীর আগমন বা জাগরণ হয় বলে শরৎকালের দুর্গোৎসবকে অকালবোধনও বলা হয়। বসন্ত কালের দুর্গাপূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়।সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমীঅবধি পাঁচদিন দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।এ পাঁচটি দিন যথাক্রমে দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত।
আবার সমগ্র পক্ষটি দেবীপক্ষ নামেও পরিচিত। দেবীপক্ষের সূচনা হয় পূর্ববর্তী অমাবস্যার দিন। এ দিনটি মহালয়া নামে পরিচিত। মূলতঃ অসুরদের বিনাশ, সাধুজনদের পরিত্রাণ এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মা দুর্গা পৃথিবীতে অবতরণ করেন,এ সময় পুষ্পরাজির সোঁদা গন্ধে চারিদিক সুবাসিত হয়, দুর্গাপূজার আগে মহালয়ার দিন দেবীর পৃথিবীতে অবতরন উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজার্থীরা মহা সমারোহে পূজা- অর্চনা করে থাকে। দেবীপক্ষের পরিসমাপ্তি ঘটে পঞ্চদশ দিনে অর্থাৎ পূর্ণিমায়। এ দিনটি কোজাগরী পূর্ণিমা নামে পরিচিত ও বাৎসরিক ল²ীপূজার দিন হিসেবে গণ্য হয়।
দুর্গাপূজা মূলতঃ পাঁচদিনের অনুষ্ঠান হলেও মহালয়া থেকেই প্রকৃত উৎসবের সূচনা ও কোজাগরী ল²ীপূজায় তার সমাপ্তি।