দুবাই ফেরত যাত্রীর লাগেজে ২০০ কার্টন সিগারেট

48

নিজস্ব প্রতিবেদক

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা এক যাত্রীর লাগেজ তল্লাশি করে ২০০ কার্টন বিদেশি সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। গত শনিবার দিনগত রাত দশটার দিকে ফ্লাই দুবাইয়ের এফজেড-৫৫৯২ ফ্লাইটে আসা সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা আবদুল মোমেন নামের ওই যাত্রীর কাছ থেকে এসব সিগারেট জব্দ করা হয়।
শাহ আমানত বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কাস্টমসের উপ-কমিশনার এইচএম কবির জানান, শনিবার রাত নয়টা ৩৮ মিনিটে ফ্লাই দুবাইয়ের এফজেড-৫৫৯২ ফ্লাইটটি শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ওই যাত্রীর লাগেজ তল্লাশি করে ২০০ কার্টন ইজি লাইট ব্র্যান্ডের সিগারেট জব্দ করে।
তিনি জানান, জব্দকৃত সিগারেটগুলো রাষ্ট্রের অনুক‚লে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এসব সিগারেট বিধিবদ্ধ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিমানবন্দর কাস্টমসে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েকবছর ধরে বিমানবন্দর দিয়ে স্বর্ণের বার ও ইয়াবার চালান পাচারের পাশাপাশি লাগেজের আড়ালে ভিনদেশি বা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে সিগারেট নিয়ে আসার পরিমাণও জ্যামিতিক হারে বেড়েছে। এর মধ্যে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসেই জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দরে মোট পাঁচটি পৃথক চালানে ২ হাজার ৫২৩ কার্টন বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। তবে বিগত ২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিল ফেল্ট (এক ধরনের ফোম) আনার ঘোষণা দিয়ে বিমানবন্দর দিয়ে ১৩ কোটি টাকা বাজারমূল্যের ‘৩০৩’ ও ‘মন্ড’ ব্র্যান্ডের ৬৫০ কার্টন ভিনদেশি সিগারেট আনা হয়। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দাবি, বিমানবন্দরে জব্দকৃত বিদেশি সিগারেটের মধ্যে সেটিই এখন পর্যন্ত সর্ববৃহৎ চালান। ওই বছরের ৭ মে পৃথক চালানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৬৬ লাখ ৯৪ হাজার শলাকা সিগারেট জব্দ করা হয়। এরপর ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট বিমানবন্দরে কর্তব্যরত জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল দুবাই থেকে ছেড়ে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক যাত্রীর লাগেজ থেকে ৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা দামের বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট জব্দ করেছে। ওই ফ্লাইটের যাত্রী লোহাগাড়ার আনিসুল ইসলামের ব্যাগেজ থেকে ২৫২ কার্টন মন্ড, ডানহিল ও ৩০৩ ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। প্রতি কার্টন সিগারেটের বাজারমূল্য তিন হাজার টাকা হিসাব করলে এসব সিগারেটের দাম দাঁড়ায় ৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এভাবেই শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভিনদেশি সিগারেটের চোরাচালান এখনও অব্যাহত রয়েছে।