দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পত্তি অনুসন্ধানের নির্দেশ

2

ঢাকা প্রতিনিধি

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পত্তি থাকার বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) অনুসন্ধান করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট রবিবার এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও আন্না খানম কলি।
আদেশের পর আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির বাড়ি ও সম্পত্তির বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য আমরা একটি সম্পূরক আবেদন করেছিলাম। ওই আবেদনের শুনানি করে শেষে আদালত দুদক, বিএফআইইউ, এনবিআর ও সিআইডিকে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে রুল জারি করেছে আদালত। এছাড়া দৈনিক বণিক বার্তা পত্রিকায় এ বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতার বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে হলফনামা আকারে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আদেশের পর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, দুবাই, কানাডা ও আমেরিকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের বাড়ি থাকার বিষয়টি এখন টক অব দ্যা কান্ট্রি। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা এবং চিকিৎসা বাবদ বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা নিয়ে যাওয়া যায়। বাড়ি কেনা বা সম্পত্তি কেনার জন্য কোনোভাবেই বাংলাদেশ থেকে টাকা বিদেশে নেওয়ার বিধান নাই। কেউ যদি বাড়ি কেনা বা সম্পত্তি কেনার জন্য টাকা বিদেশে নেয় তা সরাসরি অবৈধ হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আদালতকে জানিয়েছি যে, বিদেশে বাড়ি কেনা বা অবৈধ সম্পত্তি থাকা বাংলাদেশিদের বিষয়ে মাত্র ৩০ ডলার খরচ করে তথ্য পাওয়া যায়। মাত্র ৩০ ডলার খরচ করে পাবলিক ডকুমেন্ট হিসেবে সন্দেহজনক যে কোন বাংলাদেশির বাড়ি আছে কিনা তা জানা যায়। ওইসব দেশে তথ্য লুকানোর কোন সুযোগ নেই। কেউ যদি বাড়ির মালিক হন তাহলে নিয়ম অনুসরণ করে তথ্য চাইলে তা বের হয়ে আসবে।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, গত ১০ জানুয়ারি একটি দৈনিকে ‘দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আদালতের দায়ের এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যদিও এর আগে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে অর্থপাচার সংক্রান্ত বিষয়ে জারি করা একটি রুল বিচারাধীন রয়েছে। ওই রুলের সঙ্গে যুক্ত করতে গত সপ্তাহে সম্পূরক আবেদনটি করেন আইনজীবী।