দুদকের পৃথক দুই মামলা

28

দুর্নীতি দমন কমিশন বন্ধকী সম্পত্তির অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে ঋণ পাইয়ে দেয়া এবং সম্পদের বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১-এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে। এর একটিতে বেসরকারি মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক ও মিশম্যাক শিপব্রেকিং ইন্ড্রাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী এবং অন্যটিতে টেকনাফের এক ইয়াবা কারবারিকে আসামি করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, সকালে ক্ষমতা অপব্যবহার ও পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে গ্রাহকের বন্ধকী সম্পত্তির অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে ঋণ পাইয়ে দেয়ার অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে প্রথম মামলাটি দায়ের করা করেন। জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন মামলাটি রেকর্ড করেন। মামলার আসামিরা হলেন, মার্কেন্টাইল ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক নন্দ দুলাল ভট্টাচার্য এবং মিশম্যাক শিপব্রেকিং ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান।
এজাহারের বিবরণে বলা হয়েছে, তারা দু’জন পরস্পরের যোগসাজশে একশ’ ৪১ কোটি ১৩ লাখ দুই হাজার টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধনসহ ওই অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে অন্য হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করেছেন। এতে দন্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬২ (ক), ৪৬২ (খ), ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিরোধ আইন ৫ (২) এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ৪ (২) ধারায় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
অপরদিকে, প্রদর্শিত উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও নির্ধারিত সময়ে দুদকের জারিকৃত সম্পদ বিবরণী ফরম দাখিল না করায় টেকনাফের শাহ আলম নামে এক ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বৃহস্পতিবার বিকালে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত শাহ আলম কক্সবাজার জেলার টেকনাফের পুরান পল্লানপাড়ার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা চোরাকারবারি। বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত শাহ আলম ইয়াবা চোরকারবারের মাধ্যমে ৩৮ লাখ পাঁচ হাজার টাকার স্থাবর সম্পত্তি ও ১২ লাখ তিনশ’ ২৯ টাকার অস্থাবর সম্পত্তিসহ মোট ৫০ লাখ পাঁচ হাজার তিনশ’২৯ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এই সম্পদের বিপরীতে তার কোনও দায় নেই। মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ৬ (২) ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি নির্ধারিত ১৪ কর্মদিবস পেরিয়ে যাওয়ার পরও দুদকের জারি করা সম্পদ বিবরণী ফরম দাখিল করেন নি।