‘দুই সচিবের বাড়িতে সুইমিং পুল বানানোর সংবাদটি সঠিক নয়’

19

পূর্বদেশ অনলাইন
সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের জন্য নির্মিতব্য সরকারি বাড়িতে সুইমিং পুল নির্মাণের সংবাদটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মূলত দুই সচিবের বাড়ির প্রস্তাবটি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত নয়। আর এটি চূড়ান্ত হলেও সেখানে সুইমিং পুল থাকছে না বলে জানান তিনি। সোমবার (৩১ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকের বিষয় সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে ‘বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে দেশও যখন আর্থিক চাপে, তখন দুই জন কর্মকর্তার জন্য এত ব্যয়ে বাড়ি নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি প্রাথমিক বিষয়। এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু আসেনি। সেখানে যেকোনও ধরনের সুইমিং পুলের কথা পরিষ্কার করে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যদি সুইমিং পুল করতেই হয়, তাহলে ওখানে কয়েকশ’ বাড়িঘর আছে, যেখানে সরকারি কর্মকর্তারা বসবাস করেন। তাদের সবার ব্যবহারের জন্য একটি কমন সুইমিং পুল করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।’ এ সময় খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বাড়িতে বাড়িতে সুইমিং পুল করে রক্ষণাবেক্ষণ করা যাবে না। ওখানে যে ৫০০-৬০০ কর্মকর্তা আছেন, তাদের সবার জন্য কমন কোনও সুইমিং পুল নির্মাণ করা যায় কিনা, সেটা বিবেচনার করার কথা বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সেখানে যাদের অ্যালটমেন্ট আছে, তারা ও তাদের সন্তানরা ওখানে সাঁতার কাটার সুযোগ পাবেন। কারণ, অফিসার্স কোয়ার্টার্সে তো বাইরের লোক আসতে পারবেন না।’ উল্লেখ্য, সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের জন্য ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বাসভবন নির্মাণ করার একটি প্রকল্প গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা আলোচনায় আসছে তিন-চার বছর আগে। আর তা নির্দিষ্ট করে কারও বাড়ি করার জন্য না। এমনকি ইস্কাটন গার্ডেন অফিসার্স কোয়ার্টারে যে ছয়টি বড় ভবন আছে, এগুলো ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো সেই ১৯৫০ সালের বাড়ি। আসলে সবগুলোই নতুন করে নির্মাণ করতে হবে।’ তিনি জানান, ইতোমধ্যে সংসদ উপনেতার বাড়ি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। কারণ, এগুলো সেই ১৯৪০, ১৯৪৫ সালের বাড়ি। বাড়িগুলো একটা একটা করে সব নতুন করে তৈরি করা হবে।