দুই মাসে বাণিজ্য ঘাটতি ১৯৭ কোটি ডলার

13

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৯৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার। পরের মাস আগস্ট শেষে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক মাসে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে প্রায় ১০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি গতকাল বুধবার প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আমদানির চেয়ে রপ্তানি কম হওয়ায় বহির্বিশ্বের সঙ্গে পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতিতে পড়েছে দেশ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ইপিজেডসহ রপ্তানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৬৬৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে ৮৬২ কোটি ২০ লাখ ডলার। সেই হিসাবে আগস্ট শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় ১৯৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ হাজার ৭২৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা (বিনিময় হার ৮৪ টাকা ৭০ পয়সা ধরে)। গত অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ২১০ কোটি ডলার। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেও বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত রয়েছে। আগস্ট শেষে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এটি ৭০ লাখ ডলার ঋণাত্মক ছিল।
প্রসঙ্গত, চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনও ঋণ করতে হচ্ছে না।আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে সেবা খাতে বেতনভাতা বাবদ বিদেশিদের পরিশোধ করা হয়েছে ১৫৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ এ খাতে আয় করেছে ১০৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। এই হিসাবে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫১ কোটি ডলার।
দুই মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এসেছে ৩০৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ে ছিল তা ২৭২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই মাসে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ৭৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর মধ্যে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ৪২ কোটি ৮০ লাখ ডলার।