দুই বাংলার সাহিত্য-সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে

22

পশ্চিমবঙ্গ ভারতের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কবি সাহিত্যিক শ্রীতারকনাথ দত্ত বলেছেন, এপার বাংলা-ওপার বাংলার সমৃদ্ধির ইতিহাস বিশ্বব্যাপী তুলে ধরে বাঙালি জাতির গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাহিত্য, বিশ্বসাহিত্যের গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী সাহিত্য কর্ম পৃথিবীব্যাপী মানুষকে আলোকিত করছে। বর্তমান প্রজন্মকে সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগী ও আগ্রহী করে তুলতে প্রাচীন কবি সাহিত্যিকদের জীবন কর্ম তুলে ধরতে হবে। আমাদের এই প্রজন্মের অনেকের বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন গৌরবের কথা অজানা রয়েছে। আমাদের কবি. সাহিত্যিক. লেখক-গবেষকদের উচিত প্রাচীন সময়ের পুঁথিপত্র রচনার মাধ্যমে কালজয়ী ইতিহাস যাঁরা রচনা করেছেন সেই মণীষীদের জীবনকর্ম তুলে ধরা। চট্টগ্রাম নগরীর কাশফুল অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চের জাতীয় সম্মেলন- ১৪২৬ বাংলা গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মধ্যযুগের কবি আবদুল হাকিম, মহাকবি আলাওল, বিপ্লবী মহেশচন্দ্র বড়ুয়া ও আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ স্মরণে জাতীয় সম্মেলনের উদ্ভোধনীয় সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ভারতীয় সাহিত্যিক শ্রীতারকনাথ দত্ত এ কথাগুলো বলেন। বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চের সভাপতি ডা. এম এ মুক্তাদীরের সভাপতিত্বে ও মঞ্চের সাধারন সম্পাদক ইতিহাসবেত্তা সোহেল মো.ফখরুদ-দীনের পরিচালনায় সভার উদ্বোধন করেন প্রাক্তন সচিব সাহিত্যিক সিরাজুল কবির। প্রধান অতিথি ছিলেন রাজনীতিবিদ ও উন্নয়ন সংগঠক এম এ হাশেম রাজু। প্রধান আলোচক ছিলেন ভারতীয় লেখক কবি সাহিত্যিক শ্রীতারকনাথ দত্ত।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সাহিত্য সমিতির সহ সভাপতি জিতেন্দ্র দাস, কবি চন্দনা বড়ুয়া, শিক্ষক তপন কান্তি বড়ুয়া, কবি উদয়ন বড়ুয়া, লেখক অধ্যাপক রিপন চক্রবর্তী, রাজনীতিবিদ অমর কান্তি দত্ত, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, কবি আব্দুল হালিম, এস এম ওসমান, মাস্টার আবুল হোসেন, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউনুস কুতুবী, লায়ন সিএসকে সিদ্দিকী, সৌমেন বড়ুয়া, মধু সরকার, মঞ্জুশ্রী সরকার চৌধুরী, দীপঙ্কর গাঙ্গুলি, কবি বসুমতি সাহা, কবি সাহা গাঙ্গুলি, কবি ইমাদ উদ্দিন, হাজী নুর মোহাম্মদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিজ্ঞপ্তি