দুই ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১

13

পূর্বদেশ অনলাইন
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে দুই ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন নারী ও শিশুসহ অন্তত ১০ জন। এতে দুটি ফেরিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় নদীতে পড়ে এক গাড়িচালক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। রবিবার (১৯ জুন) ভোর সোয়া ৫টায় পদ্মা নদীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মোহাম্মদ খোকন। তিনি পিকআপ ভ্যানের চালক। তার বাড়ি ঝালকাঠি। ফেরির চালক ও যাত্রীরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত। রাতে স্রোত আরও বেড়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে ফেরি চলাচল করছিল। ভোরে ফেরি বেগম রোকেয়া শিমুলিয়া থেকে মাঝিরকান্দির দিকে আসছিল। এদিকে ফেরি সুফিয়া কামাল মাঝিরকান্দি ঘাট থেকে শিমুলিয়ায় যাচ্ছিল। স্রোতের কারণে দুই ফেরির নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি চালকেরা। এতে মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। দুটি ফেরির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। পরে সুফিয়া কামাল শিমুলিয়া ঘাটে ও বেগম রোকেয়া মাঝিকান্দি ঘাটে পৌঁছে নোঙর করেছে। দুই ফেরিতে দুই শতাধিক যাত্রী ও ৪০টি যানবাহন ছিল। বেগম রোকেয়া ফেরির মাস্টার মিন্টু রঞ্জন দাস বলেন, ‘নদীতে অনেক স্রোত ছিল। জাজিরা পয়েন্টের কাছাকাছি মোড়ে পৌঁছালে স্রোতের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেরি সুফিয়া কামালের সঙ্গে আমাদের ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আমাদের ফেরিতে থাকা ৮-১০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পিকআপ ভ্যানচালক মারা গেছেন। এছাড়া নদীতে পড়ে একজন নিখোঁজ রয়েছেন।’ ফেরি সুফিয়া কামালের মাস্টার মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘নদীতে প্রচণ্ড স্রোতে টার্নিংয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। তাই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ আলী জানান, পদ্মা নদীর টার্নিং পয়েন্টে আসলে দুই ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ফেরিতে থাকা এক যাত্রী মারা যান। এ সময় ফেরিতে থাকা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।