দুই ‘গ্র্যাজুয়েট’ মেয়র প্রার্থীর সম্পদ বিবরণী

35

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে দুইজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া এডভোকেট এস.এম তোফাইল বিন হোছাইন, অন্যজন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম হোছাইনী। দুই প্রার্থী শিক্ষাদীক্ষায় গ্রাজুয়েট। মেয়র প্রার্থী এডভোকেট এস.এম তোফাইল বিন হোছাইনের শিক্ষাগত যোগ্যতা বি.কম. এলএলবি। স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম হোসাইনীর শিক্ষাগত যোগ্যতা বি.এ পাস।
তোফাইলের বিরুদ্ধে অতীতে একটি মামলা থাকলেও সেটি উচ্চ আদালতে স্থগিত আছে। কামরুলের বিরুদ্ধে বর্তমানে একটি মামলা তদন্তাধীন আছে। অতীতে পাঁচটি মামলা থাকলেও সেগুলো থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
দুই প্রার্থীর সম্পদ বিবরণীতে দেখা যায়, পেশায় আইনজীবী তোফাইল বিন হোছাইনের বাৎসরিক আয় তিন লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। কৃষিখাতে নির্ভরশীলদের আয় ২০ হাজার টাকা। কামরুল ইসলামের বাৎসরিক আয় তিন লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। কৃষিখাতে আয় ২০ হাজার টাকা।
তোফাইলের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নগদ টাকা আছে চার লক্ষ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে চার হাজার ৫০০ টাকা। স্ত্রীর নামে আছে চার হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে একটি মিনি মাইক্রোবাস আছে। স্ত্রীর অলঙ্কার আছে ২৫ তোলা। নিজের নামে ইলেকট্রিক সামগ্রী এক লক্ষ টাকা, আসবাবপত্র এক লক্ষ টাকা ও ব্যবসায় মূলধন পুঁজি আছে দুই লক্ষ টাকা।
অন্যদিকে কামরুলের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে নগদ টাকা আছে ১৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ১৬১ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে এক লক্ষ ৩৪ হাজার ৮৫৮ টাকা। স্ত্রীর নামে আছে দুই লক্ষ ২১ হাজার ৪২৪ টাকা। নিজের নামে দুই ভরি ও স্ত্রীর নামে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার আছে। ইলেকট্রিক সামগ্রীর মধ্যে নিজের দুটি ও স্ত্রীর একটি ফ্রিজ, একটি মোবাইল ও একটি আইপিএস আছে। নিজের আসবাবপত্র আছে সোফা এক সেট, খাট দুটি, সম্পূর্ণ ডাইনিং টেবিল একটি। অন্যান্য সম্পদ আছে নিজ নামে ৩০ হাজার ৭২০ টাকার।
তোফাইলের কোনো স্থাবর সম্পত্তি ও দায়-দেনা নেই। অন্যদিকে স্থাবর সম্পদের মধ্যে কামরুল ইসলামের নিজ নামে কৃষি জমি তিন একর, স্ত্রীর নামে ৫০ শতক, অকৃষি জমি নিজ নামে এক একর আট শতক ও স্ত্রীর নামে আছে তিন শতক। দায়- দেনার মধ্যে সোনালী ব্যাংক বাঁশখালী শাখায় এই প্রার্থীর ঋণ আছে এক লক্ষ টাকা।