দুইবার সময় বাড়ানোর পরও অর্ধেক কাজ বাকি

39

বাঁশখালী উপজেলার সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবনসহ হলরুম নির্মাণ প্রকল্পের কাজ সাড়ে চার বছরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। এরমধ্যে দুইবার সময় বাড়ানো হয়েছে। এখনো বাকি অর্ধেক কাজ। বর্ধিত সময়নুযায়ী আগামী নভেম্বরের মধ্যে এ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা নিয়েও আছে শঙ্কা। উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনটির নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় কয়েকটি সরকারি অফিসের কার্যক্রম চলছে জরাজীর্ণ ভবনে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার পূর্বদেশকে বলেন, ‘ দ্রæত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে আমি ঠিকাদারকে বহুবার বলেছি। উনাকে দিয়ে পুরো প্ল্যান আনিয়েছি। কোন মাসে কতটুকু কাজ হবে সে অনুযায়ী না পেলে বিল দিব না। পাঁচ বছর হয়ে গেছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ বুঝিয়ে দিতে পারেনি ঠিকাদার।’
প্রকৌশল অফিস সূত্র জানায়, বাঁশখালী উপজেলার সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবনসহ হলরুম নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ কোটি ৭০ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭৪৯ টাকা। ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রæয়ারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্সের সাথে প্রকল্প কাজের চুক্তি হয়। ২০১৬ সালের ১১ জুলাই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রথমধাপে ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়। সেসময়ও কাজ বুঝিয়ে দিতে না পারায় চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়েছে। কাজ শুরুর প্রায় সাড়ে চার বছরে অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। শুরুতে মো. ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্সের লাইসেন্সে কাজটি পেয়েছিলেন বান্দরবানের জনৈক নাছির নামে এক ব্যক্তি। পরে প্রকল্পের কাজ দেখভাল করতে থাকেন কক্সবাজারের রফিকুল ইসলাম। পুরো প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি)। বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া পূর্বদেশকে বলেন, মাটির নিচে ছয় ফুট বালি ভরাট, ছয় ফুট মাটি দিয়ে লোড দিতে হয়। এভাবে কিছুদিন রেখে এ মাটি স্থায়ী হয় কিনা দেখতে হয়। প্রথমদিকে এ সেলফাইলের কাজ করতে সময় লেগেছে। কাজের মান ভালো ও সন্তোষজনক থাকলেও সময়ক্ষেপণ করায় ঠিকাদার রফিককে বারবার তাগাদা দেয়া হয়েছে। এখন যেহেতু কাজটি ইউনুছের লাইসেন্স করছে বিষয়টি উনাকেও বলা হবে। লাইসেন্স ভাড়া দিলে ঠিকাদারের কাজের খবর নেয়া উচিত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্সের সত্ত¡াধিকারী মো. ইউনুছ পূর্বদেশকে বলেন, কাজতো মনে হয় শেষের দিকে। যারা কাজ করছেন তারাই বিষয়টি নিয়ে ভালো বলতে পারবেন।
রফিকুল ইসলাম পুর্বদেশকে বলেন, একবার কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ বুঝিয়ে দেয়া হবে। এখন তিন তলার কাজ চলছে। সপ্তাহের মধ্যে ঢালাই হবে। তিনতলার কাজ শেষ হলেই অন্যান্য কাজ শেষ হতে বেশি দেরি হবে না। এরমধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।’