দুইজনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করল নৌপুলিশ

21

সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মা মাছ শিকার করার ঘটনায় প্রথম বারের মত মামলা দায়ের করেছে নৌ-পুলিশ।
গত সোমবার রাতে রাউজান থানায় নৌ-পুলিশের দায়ের করা ওই মামলার দুই আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। এরা হলেনে রাউজান থানার কচুখাইন এলাকার স্বপন দাশের পুত্র সাজু দাশ (২৯) ও একই থানার মোকামী পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের পুত্র মো. রফিক (৪৮)।
এর আগে ওই দিন দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের রাউজান থানার ১২ নম্বর উরকিরচর এলাকায় থেকে নৌ-পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৯শ মিটারের ৩টি জাল উদ্ধার করে। তবে উক্ত মামলার অভিযুক্ত আসামিরা ওই সময় পালিয়ে যায়।
রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেপায়েত উল্লাহ জানান, হালদা নদীতে মা-মাছ শিকার করার দায়ে সুনির্দিষ্ট দুইজন পলাতক আসামির নাম উল্লেখ করে জাল উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করেছে সদরঘাট নৌ-পুলিশ। যেহেতু ঘটনাটি রাউজান থানা এলাকায় তাই এ থানায় মামলাটি রুজু করা হয়েছে। তবে এ মামলাটি তদন্ত করবে সদরঘাট নৌ-পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সদরঘাট থানার নৌ-পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) এবিএম মিজানুর রহমান বলেন, হালদায় মা শিকারের ঘটনায় দুজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মা-মাছ শিকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা এটিই প্রথম মামলা।
হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও হালদা নদী তথা মাছের সুরক্ষায় মা-মাছ শিকারীদের বিরুদ্ধে ২২ টিরও অধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানাসহ বিপুল পরিমাণ জাল ও মাছ ধরার সরঞ্জাম উদ্ধার এবং কারাদন্ডও প্রদান করেছি। গত রবিবার দুপুরে হালদা নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৬টি ড্রেজারের (বালু উত্তোলনের নৌ-যান) ইঞ্জিন জব্দ করে ধ্বংস করেছি।