দীপান্বিতা চৌধুরী

31

 

ও মা! সমুদ্র কে কাছে আসতে বলো আমার মৃত্যুকালে সহজ করে দিও আমার মুক্তি তুচ্ছের বদলে। এমনই হয়। অথচ এমন হওয়ার কথা থাকে না।আমাদের মায়েরা রান্নার খুন্তি, শলার ঝাড়ু, হাতপাখা,জ্বালানি কাঠ এরকম সবকিছু দিয়ে নিজের মেয়েকে পিটিয়ে আপনাদের ঘরের উপযুক্ত করে আপনাদের পাঁচ পেট ভোজন করিয়ে তারপর সম্পূর্ণ বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে আপনাদের কাছে নিজের হৃদপিÐসম কন্যাকে তুলে দেন বরের পা মোছার পাপোশটা পর্যন্ত দিয়ে। তবুও বছর শেষ না হতেই ভাগ্যে জোটে ময়নাতদন্ত।
আচ্ছা আমরা কি কারো জীবন দিতে পারি? পারি না তো। তাহলে জীবন নেব কেনো!!
আর যদি পৌরুষত্ব দেখানোর বিষয় হয় তবে বলবো এই যে মেরে পেলে সুইসাইডের নাম দিয়ে চালিয়ে দেন এটাতেই বুঝা যায় আপনারা পুরুষরা কতটা কাপুরষ।
কতটা হাড় কঙ্কাল ভাঙ্গা আপনাদের। নিজে মরার ভয়ে, নিজের দায়িত্বের এড়ানোর ভয়ে পরের মেয়েকে মেরে ফেলেন।
তেমন হিম্মত থাকলে খোরপোষ দিয়ে দেখান।তার সমস্ত প্রতিবাদের ন্যায়সঙ্গত জবাব দেন।
আমার প্রশ্ন, মেয়েদের যেমন শাসন শোষণ করে পরের আনন্দের জন্য যোগ্য করা হয়। পুরুষদের বেলায় এটা করা হয়না কেন?
একজন পুরুষেরও তো স্বামী হতে হয়,পিতা হতে হয়,জামাই হতে হয় সর্বোপরি তাকেও প্রেমিক হতে হয়। তাহলে মন জুগানোর দায়টা তারও আছে। তাহলে তাদের মায়েরা বা পিতারা তাদেরকে এ শিক্ষাটা দেয় না কেন? শুধু মানুষ মারার শিক্ষাটা দিলেই কি একজন পুরুষ উপযুক্ত হয়ে গেল সব চরিত্রের জন্য!
ঘরের সুবোধ ছেলেটাকে মানিয়ে চলার শিক্ষাটা দিয়েন। এতে করে দেশে মেয়েদের ময়নাতদন্তের ভার কিছুটা হলেও কমবে।