‘দিদি নম্বর ওয়ান-এ অংশ নিতে পারেন আপনিও

12

 

ওপার বাংলার টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় শো ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। এই অনুষ্ঠান দেখার জন্য দিনের এক ঘণ্টা সযত্নে সরিয়ে রাখেন অনেকেই। টেলিভিশনের পর্দায় এই অনুষ্ঠান দেখার পর নিজেকে দিদি নম্বর ওয়ান’-এর সেটেও দেখতে চান অনেকে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে অংশ নেওয়া যাবে জনপ্রিয় এই শোয়ে।
‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর নয় নম্বর সিজন এই মুহূর্তে সম্প্রচার হচ্ছে। সঞ্চালকের ভূমিকায় রয়েছেন যথারীতি রচনা ব্যানার্জী। এই গেম শো’তে মূলত একজন নারী বা জুটিতেও অংশ নেন প্রতিযোগীরা। বিভিন্ন খেলা বেশ কয়েকটি রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়। শেষ পর্যন্ত যে প্রতিযোগীর প্রাপ্ত নম্বর সব থেকে বেশি হয়, তিনিই হন সেই এপিসোডের ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ বিজয়ী। কয়েকটি সহজ পদ্ধতিতেই এই শো-এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব। ‘দিদি নং ওয়ান’-এর এপিসোড টেলিকাস্ট হওয়ার সময় নীচে অডিশন সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়। অর্থাৎ বায়োডেটা কোন নির্দিষ্ট নম্বর বা ইমেল মারফত পাঠাতে হবে তা জানিয়ে দেওয়া হয় এপিসোডগুলোতেই। শুধু টেলিভিশনের পর্দায় নয়, এই শো দেখা যায় জি-ফাইভ অ্যাপেও। অডিশন সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য এই অ্যাপ থেকেও পাওয়া যায়। এই তথ্য পাওয়ার জন্য নিয়মিত এই অ্যাপটি ফলো করতে হবে এবং সেখানে আপলোড করা এপিসোডগুলোর উপর নজর রাখতে হবে।
এই শোয়ের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মী জানান, চ্যানেলের এপিসোড চলাকালীন যে পদ্ধতিগুলো বলা হয়, সেভাবে আবেদন করার পর জমা পড়া বায়োডাটার ভিত্তিতে অডিশনের জন্য ফোন করা হয়। এরপর অডিশনে উত্তীর্ণ হতে পারলেই সরাসরি অংশ নেওয়া যায় এই অনুষ্ঠানে।
ওই কর্মী দর্শকদের সতর্ক করে আরও বলেন, ‘অন্য কোনো প্ল্যাটফর্ম থেকে ফোন করে যদি শো-এর রেজিস্ট্রেশনের জন্য টাকা চায়, তাহলে তা কখনোই দেবেন না। এই অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোনো অর্থের প্রয়োজন নেই।
ফলে কেউ যদি এই অনুষ্ঠানের যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য নাম করে টাকা চায়, বুঝবেন সে ভুয়া। তবে জি বাংলা চ্যানেলের জনপ্রিয় এই শোয়ে অংশ নিতে গেলে যেকোনো প্রতিযোগীকে বাধ্যতামূলক পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে তা ভোটার আইডি কার্ড বা আধার কার্ডের জেরক্স হতে পারে। যোগাযোগ করার জন্য ফোন নম্বরও জমা দিতে হয়। আরও দিতে হয় পাসপোর্ট সাইজের ছবি।