দর্শনার্থী সমাগম বাড়ছে বিনোদন-পর্যটনস্পটে

15

আসহাব আরমান

দর্শনার্থীদের পদচারণায় আবারও মুখর হয়ে উঠেছে নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো। দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস বন্ধ থাকার গত ১৯ আগস্ট থেকে খুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকে দর্শনার্থীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন। তবে করোনা সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা থাকলেও কোনো কোনো স্থানে তা উপেক্ষিত হচ্ছে। বিনোদন কেন্দ্রে আসা অধিকাংশ দর্শনার্থীই মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবে দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেকসহ বেশ কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্র ঘুরে দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে গত শুক্রবার পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল উল্লেখ করার মত। ছুটিরদিন হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ছেলে-মেয়ে নিয়ে ঘুরতে বের হন। তবে অতিরিক্ত মানুষের সমগম হওয়ায় উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। অধিকাংশ দর্শনার্থীর মুখে ছিল না মাস্ক। এদিকে নগরীর ফয়’স লেক ও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়ও একই চিত্র দেখা গেছে। দুটি বিনোদন কেন্দ্রেই ছিল বিনোদন প্রেমীদের সরব উপস্থিতি। তবে প্রবেশ মুখে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকলেও বিনোদন কেন্দ্রের ভেতরে দর্শনাথীদের মাস্কহীন চলাচল করতে দেখা গেছে।
ফয়’স লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কের ডেপুটি ম্যানেজার (বিপনন) বিশ্বজিৎ ঘোষ পূর্বদেশকে বলেন, খোলার পর থেকে দর্শনার্থীর উপস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক। গত শুক্রবার প্রায় দেড় হাজারের মত দর্শনার্থী এসেছিলেন। প্রবেশ মুখে দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি পালনে হান্ড সানিটাইজার ও ফুট স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও পার্কের ভেতরেও বিভিন্ন স্থানে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে কিছু দর্শনার্থী প্রবেশের সময় মাস্ক পরলেও ভেতরে প্রবেশ করে মাস্ক ফেলে দিচ্ছে। আমরা তাদেরকে পুনরায় মাস্ক পরার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর শাহাদাত হোসেন শুভ পূর্বদেশকে বলেন, দর্শনার্থীর উপস্থিতি থাকলেও তা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম। বর্তমানে দর্শনার্থীর সংখ্যা আগের চেয়ে ৪০ শতাংশ কম লক্ষ্য করা গেছে। আগে দৈনিক দর্শনার্থীর সংখ্যা আঠারোশ’য়ের বেশি ছিল। তবে আমরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থী প্রবেশ করাচ্ছি। মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক পূর্বদেশকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করলেই জরিমানা করা হচ্ছে। পাশাপাশি মাস্কহীন নাগরিকদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সাড়ে ৪ মাস চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হয়। তবে গত ১৯ আগস্ট থেকে ৫০ শতাংশ দর্শনার্থী প্রবেশ করানোর নির্দেশনা দিয়ে বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।