দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার মিনা গাজি টিলা সড়কে উঠলে বুক কাপে

450

সড়কটি দিয়ে এমনি হাটা যায়না। গাড়িত চলেইনা। আর কোন রকমে সিএনজিতে উঠলে মানুষের বুক কাপে। মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। দীর্ঘ ১ কিলোমিটার সড়কটি বছরের পর বছর এ অবস্থায় রয়েছে। সড়ক নয় যেন নরক যন্ত্রনা। আর বর্ষাকালে সড়কের ভয়াবহ দৃশ্য দেখে যে কেউ অবাক হবেন। যানবাহন ও জনচলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এলাকার সার্বিক কার্য্যক্রমে সড়কটি গুরুর্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় এলাকার জীবন মান পিছিয়ে পড়েছে। ৮ বছর আগে মিনা গাজির টিলা সড়ক স্থানীয় সরকার মন্ত্রানালয় (এলজইিডি) পিচ ডালাই করে। গত ২/৩ বছর ধরে সড়কের বেহালদশা। ইউপি চেয়ারম্যান নজুরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য উপজেলা এলজিইিডি প্রকৌশলীকে অনেকবার বলা হয়েছে। কেন তারা করছেনা জানিনা। তবে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় এলাকার মানুষের সিমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিলক ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম জানান, সড়কটি এ ওয়ার্ডের জন্য খুবই গুরুর্ত্বপূর্ণ। সংস্কার না হওয়ায় ঝুকির মাঝে চলাচল করে যানবাহন। যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। সিএনজি করে যাওয়াটা ঝুকিপূর্ণ। গাড়িতে উঠলে এ সড়কে বুক কাপে।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান চৌধুরী জানান, দক্ষিন রাঙ্গুনিয়ার শিলক ইউনিয়নের বড়–য়া পাড়া থেকে কোদালা চা বাগান পর্যন্ত এ সড়কের পিচ উঠে গিয়ে সড়কের বিস্তির্ণ অংশে খানা খন্দকে ভরে গেছে। সড়কের ইট সুরকি উঠে গেছে। এ বষ্যায় সড়কের অস্তির্ত থাকবেনা। এ সড়ক দিয়ে কোদালা চা বাগান, শিলক বহু চক্রের বাজার, শিলক বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়, শিলক হামিদ শরীফ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহ নানা গুরুর্ত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। পিচ ডালাই এ সড়কটি এখন পিচ উঠে গিয়ে জন ও যানবাহন চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সড়কটি সংস্কার কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
শিলক হামিদ শরীফ উচ্চ বারিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯বম শ্রেনীর ছাত্রী তৃষা চ্ক্রবর্তী জানান, সড়কটি আমাদের শিক্ষার কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এ বষ্যায় অটোরিক্রা করে স্কুলে যাওয়া অত্যান্ত ঝুকি। সড়কটির সংস্কার করলে শিলক ইউনিয়ন সব কিছুতে আমূল পরিবর্তন আসবে। কোদালা চা বাগানের ম্যানাজার আবদুল লতিফ জানান, দেশের প্রথম চা বাগান কোদালা। আর বাগানের সব কিছু এ সড়ক ব্যবহার করতে হয়। সড়কটি দিয়ে চলাচল করা যায়না। সড়কটি সংস্কার কাজ করা খুবই জরুরী। এ এলাকার জীবন মান বৃদ্ধিতে এ সড়কের গুরুর্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) দিদার আলম জানান, সড়কটি যেহেতু পিচ ডালাই। সে হিসেবে সড়কটি রিপাইনিং ও মেইনটেনিজ করা যাবে। আমরা সড়কটি পূর্ণ সংস্কারের জন্য চট্টগ্রামে এলজইিডিতে পাটিয়েছি। এবারে মেইনটেনেইজ কাজে আশা করি বরাদ্ধ পাওয়া যাবে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।