‘দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে শক্তিশালী দল বাংলাদেশ’

18

ভারতের মাটিতে স¤প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকাকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে ছেড়েছে বিরাট কোহলির ভারত। তবে এবার প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ মোটেই এত সহজ হবে না বলে ভারতকে সতর্ক করে দিয়েছেন ডেভ হোয়াটমোর। বাংলাদেশের সাবেক এই কোচের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে বাংলাদেশ ভালো দল। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে শক্ত ভিত এনে দেওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল হোয়াটমোরের। তার সময়েই বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিল টাইগাররা। তার শিষ্যদের কয়েকজন এখনও খেলে যাচ্ছেন। আর তিনি নিজে ভারতের কেরালা ক্রিকেটের দায়িত্বে থাকলেও মাশরাফি-সাকিবদের খেলা নিয়মিত ফলো করেন। তাই এই দলটি সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা আছে তার। হোয়াটমোর মনে করেন ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হবে উপভোগ্য। কারণ, বাংলাদেশের বর্তমান দলটি প্রোটিয়াদের চেয়ে ভালো দল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে হোয়াটমোর বলেন, ‘সিরিজটি দারুণ উপভোগ্য হবে। বাংলাদেশ এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ভালো দল। তাদের অনেক খেলোয়াড় এখন টি-টোয়েন্টি লিগে খেলে। এটা তাদের কাজে লাগবে। তাছাড়া তারা সবসময় ভয়ঙ্কর দল। নিজেদের দিনে তারা যেকোনো হিসাব পাল্টে দিতে পারে।’৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলবেন না ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। অনেকে মনে করেন, কোহলির না থাকাটা বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির কারণ হবে। তবে হোয়াটমোর বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই সে (কোহলি) সব ফরম্যাটেই বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। তার উপস্থিতি দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ভূমিকা রাখে। তবে কোহলির অনুপস্থিতি সত্তে¡ও ভারত শক্তিশালী দল। রোহিত শর্মা দারুণ ফর্মে আছে। ঘরের মাটিতে ভারত সবসময় কঠিন প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশের জন্য এটা কঠিন এক পরীক্ষা হবে সন্দেহ নেই।’
সাবেক শিষ্য বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের এমন উন্নতিতে অনেক খুশি হোয়াটমোর, ‘তার ক্যারিয়ার যেভাবে উন্নতি করেছে তাতে আমি খুশি। সে সবসময় টাইট বোলিং আর বড় উইকেট নিতে সক্ষম। গত কয়েক বছরে তার ব্যাটিংয়ের দারুণ উন্নতি হয়েছে। আমি নিশ্চিত ভারতের মতো শীর্ষ দলের বিপক্ষে সে তার সেরাটাই দিতে চাইবে।’
বাংলাদেশের বোলিং বিভাগের মূল অস্ত্র হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমানকে দেখছেন হোয়াটমোর। যদিও সা¤প্রতিক সময়ে খুব একটা ভালো ফর্মে নেই ‘কাটার মাস্টার’। তবে ভারতের পিচে তার কাছ থেকে দারুণ কিছু আশা করছেন ৬৫ বছর বয়সী কোচ। আগামী নভেম্বর মাসের ৩ তারিখে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের ভারত সফর। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হলেই মাঠে নামবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ লড়াইয়ে।