থানচিতে অজ্ঞাত রোগে মারা যাচ্ছে শুকর

16

বান্দরবানে থানচিতে বিনা ঔষধ ও চিকিৎসায় অজ্ঞাত রোগে মরতে হচ্ছে গৃহপালিত শুকর। মৌসুমে আবাহওয়া পরিবর্তন দেখা দিলে গৃহপালিত শুকরে অজ্ঞাত রোগ দেখা দিয়েছে বলে জানান মারা শুকরের মালিকরা। গত ফেব্রূয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শুকর মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কার্যালয়ের চিকিৎসক দির্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত রয়েছে। জানা যায়, থানচি সদর উপজেলার মগক হেডম্যান পাড়ার প্রূথুইচিং মারমা গত সপ্তাহ ২টি, অংসাথুই মারমা এর ১টি,সদর ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার নুচিংপ্রূ মারমা ১টি, ছাংদাক পাড়া পুথুই মারমা ২টি, শুকর অজ্ঞাত রোগে শুকরগুলো মারা গেছে। তারা জানান, অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্র্র্র্তা কার্যালয়ের (পশু ডাক্তার) নিকট গেলে অফিস বন্ধ পাওয়া যায়। তাই বিনা ঔষধ ও চিকিৎসায় না পাওয়ায় গৃহ পালিত শুকরগুলো মারা যাচ্ছে বলে দাবী করেন। এদিকে থানচি উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ নেই বললে চলে। স্থানীয় এক কর্মচারী ভেট্যানারী ফিল্ড এ্যাসিস্টেইন মেনসিং ম্রো জানান, অত্র কার্যালয়ের মোট কর্মকর্তাসহ ৫ জন রয়েছে। তৎ মধ্যে ভেটেনারি সার্জন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. খন্দকার মইনুল হুদা, কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী মনোজ কুমার দে, ভেটেনারী ফিল্ড এ্যাসিস্টেইন কৃতিমান চাকমা, যোগদানের পর থেকে মাসের একদিন আসেন আর বেতন ভাতা অনলাইনে নিয়ে যায়। মনিকা চাকমাকে মাঝে মাঝে প্রশিক্ষণ এবং তিন কর্মকর্তা জন্য বেতন সিটসহ স্বাক্ষর করার যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ ভেটেনারি সার্জন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. খন্দকার মইনুল হুদা ১৭-১৮ সালে যোগদান করেন এর মধ্যে একদিনও অফিসে উপস্থিত থাকেন নাই। কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী মনোজ কুমার দে বান্দরবান সদরে হাফেস ঘোনা একটি মুদি দোকান পরিচালনা করেন এবং ঐখানে বেশীরভাগ সময় কাটান। থানচি উপজেলা ৪টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা- কর্মচারীদের না থাকায় এবং গৃহপালিত শুকর মারা যাওয়ার সুচিকিৎসা না পাওয়া হতামা ভোগছে উপজেলাবাসী। যোগাযোগ করা হলে এভেটেনারী সার্জন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. খন্দকার মইনুল হুদা জানান, গৃহপালিত পশু গরু, ছাগল হাস-মুরিগী ও শুকর বিভিন্ন রোগে মারা যাবে তাহাতে আমার কিছু যায় আসে না, আমার চাকুরী বয়স মাত্র ১০ দিন রয়েছে।