তেল-চিনি-মশলা এখন সিন্ডিকেটের টার্গেট: সুজন

5

জনগণের অতি চাহিদাকৃত ভোগ্যপণ্য তেল-চিনি-মশলা সিন্ডিকেটের টার্গেট বলে মন্তব্য করেছেন দীর্ঘদিন ধরে নাগরিক আন্দোলন নিয়ে কাজ করা সংগঠন নাগরিক উদ্যোগ এর প্রধান উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যসমূহের দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সবসময়ই ব্যবসায়ীদের নানারকম প্রণোদনা এবং সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সরকারের যাবতীয় সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে জনগণকে কষ্টে ফেলছে। দীর্ঘদিন ধরে তেল এবং চিনির মূল্যবৃদ্ধি এবং এসব পণ্যের দুষ্প্রাপ্যতা তারই প্রমাণ বহন করে। এতে করে খুবই অসহায় হয়ে পড়েছে সাধারণ ভোক্তা। ঈদের পর বাজারে এসব পণ্যের বাড়তি দামে দিশেহারা ক্রেতারা। সরকার এসব পণ্যের বিক্রয়মূল্য ঠিক করে দিলেও নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি না করে অতিরিক্ত দাম আদায় করা হচ্ছে। সিন্ডিকেটের লোভী মনোবৃত্তি এবং নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে এসব পণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ফলে কষ্ট পাচ্ছে সাধারণ ভোক্তা। বাজারে তেল এবং চিনির পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে। সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে জনগণের অতি প্রয়োজনীয় এসব পণ্যগুলোর দাম বৃদ্ধি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন গুটিকয়েক ব্যবসায়ী। ঢাকা এবং খাতুনগঞ্জের কয়েকজন ব্যবসায়ী এসব ঘৃণ্য অপতৎপরতার সাথে যুক্ত রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এসব ব্যবসায়ীরা সবসময় আর্ন্তজাতিক বাজারের দোহাই দিলেও বর্তমানে আর্ন্তজাতিক বাজারে এসব পণ্যের দাম কমলেও দেশে উল্টো দাম বাড়িয়ে বিক্রয় করা হচ্ছে। আমরা মনে করি সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে উস্কে দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়িয়ে অসন্তোষ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে একটি চক্র। তবে চক্রটি চিহ্নিত এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও সময় এসে গেছে বলে মনে করেন তিনি। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইন শৃংখলা বাহিনীকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান তিনি। এসব ব্যবসায়ীদের অতীত রাজনৈতিক ইতিহাসও যাচাই করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সুজন।
তিনি এসব চিহ্নিত সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের নাম ও ঠিকানা শহরের উন্মুক্ত স্থানে প্রদর্শনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, তারা যদি এহেন কর্মকাÐ থেকে সরে না আসে তাহলে জনগণকে সাথে নিয়ে তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে। তাদের কোন প্রকার সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি জনগণকেও এসব অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ঐকমত গঠন করার অনুরোধ জানান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। বিজ্ঞপ্তি