তীব্র দাবদাহে অস্ট্রেলিয়ায় বহু বন্যপ্রাণীর মৃত্যু

33

অস্ট্রেলিয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা ভয়াবহ দাবদাহে জনবিরল এলাকায় ৯০টিরও বেশি বন্য ঘোড়ার মৃত্যু হয়েছে। নর্দার্ন টেরিটরির অ্যালিস স্প্রিংয়ের কাছে গত সপ্তাহেই একটি শুকিয়ে যাওয়া পানিরপ্রবাহে বনরক্ষীরা অসংখ্য মৃত ও মৃতপ্রায় প্রাণীর সন্ধান পেয়েছেন বলেও জানিয়েছে বিবিসি। ঘটনাস্থলেই তারা পানিশূন্যতা ও অনাহারে মৃত ৪০টির মতো প্রাণীর দেহ দেখতে পান। অর্ধমৃত ঘোড়াগুলিকে পরে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়ায় দুই সপ্তাহ ধরে প্রবল দাবদাহ বিরাজ করছে। এরই মধ্যে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রার ডজনের বেশি রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডের তাপমাত্রা শহরটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ভেঙে গেছে ১৯৩৯ সালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ার সেন্ট্রাল ল্যান্ড কাউন্সিল (সিএলসি) জানায়, দুর্গম এলাকার একটি জনগোষ্ঠীর মানুষের কাছ থেকেই বনরক্ষীরা ঘোড়াদের দেখা যাচ্ছে না বলে জানতে পারে ও সেগুলোর সন্ধানে নামে। স্থানীয় বাসিন্দা রালফ টার্নারও শুকিয়ে যাওয়া ওই পানিরপ্রবাহ দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানকার বেশকিছু ছবিও অনলাইনে দিয়েছেন তিনি। পরিস্থিতিকে ‘ব্যাপক হত্যালীলা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। আমি বিধ্বস্ত হয়ে গেছি।
এ ধরণের দৃশ্য, এত মৃতদেহ আগে কখনোই দেখিনি। বিশ্বাসই করতে পারছি না এমন কিছু হতে পারে,” বলেছেন তিনি। আরেক স্থানীয় রোহান স্মিথ এবিসিকে বলেন, যেখানে মৃতদেহগুলো মিলেছে সাধারণত সেখানেই পানি পাওয়া যেত। “ঘোড়াগুলোর আর কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না,” বলেছেন তিনি।
সিএলসি বলছে, তারা পরে মৃতপ্রায় বাকি ঘোড়াগুলোকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নেন। কাছাকাছি এলাকার ১২০টি ফেরাল ঘোড়া, গাধা ও উটকেও ‘তৃষ্ণায় মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে’ সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে, জানিয়েছেন সিএলসির পরিচালক ডেভিড রস। সপ্তাহ দুয়েক ধরেই অ্যালিস স্প্রিংয়ের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বলে জানিয়েছে বিবিসি। এই তাপমাত্রা অন্যান্য বছরগুলোর জানুয়ারির গড় তাপমাত্রার চেয়ে ৬ ডিগ্রির বেশি, বলছে অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া দপ্তর।