তিন মাস পর শনাক্ত হাজার পার, মৃত্যু ৭

12

পূর্বদেশ ডেস্ক

ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যে দেশে করোনায় নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। বাড়ছে শনাক্তের হার আর মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ১ হাজার ১৪০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ সময়ে বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্তের হারও। ৯৯ দিন পর গতকাল শনাক্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেল। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হার পৌঁছেছে ৫ শতাংশের কাছাকাছি।
গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগের দিন করোনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১ হাজার ১৪০ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। এর চেয়ে বেশি রোগী একদিনে শনাক্ত হয়েছিল সর্বশেষ ২৯ সেপ্টেম্বর। সেদিন ১ হাজার ১৭৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর এসেছিল। খবর বিডিনিউজের।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ৯৪৭ জনে। এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮ হাজার ৯৭ জন। বুধবার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, বৃহস্পতিবার তা বেড়ে ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ হয়েছে।
এর বেশি শনাক্তের হার সর্বশেষ ছিল গত ২০ সেপ্টেম্বর; সেদিন প্রতি ১০০ পরীক্ষায় ৫ দশমিক ৬৭ জনের কোভিড পজিটিভ এসেছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ১৯৬ জন। তাঁদের নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৪ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন।
গত একদিনে শনাক্ত নতুন রোগীদের মধ্যে ৯৭৮ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৮৫ শতাংশের বেশি। দেশের ২৮টি জেলায় একদিনে কারও করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়নি।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৭ জনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, তিনজন নারী। তাঁদের মধ্যে একজন ঢাকা বিভাগের, চারজন চট্টগ্রাম বিভাগের একজন রাজশাহী বিভাগের এবং একজন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
তাদের মধ্যে ছয়জন সরকারি হাসপাতালে এবং একজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে সারা দেশে মোট ২৩ হাজার ৪৩৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ ১০ হাজার ৯৪৭টি নমুনা। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বিশ্বে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৪ লাখ ৬৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৯ কোটি ৭৯ লাখের বেশি রোগী।