তিন বছর পার তবুও অগ্রগতি শূন্য

37

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরজুড়ে ধবধবে সাদা এলইডি বাতি লাগানোর দামামা বাজিয়ে ২৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প অনুমোদন করায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। ভারত সরকারের এলওসির (লাইন অব ক্রেডিট) প্রক্রিয়ার অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সংস্থাটির বিদ্যুৎ উপ-বিভাগ। অনুমোদনের তিন বছর পার, তবুও ভৌত অগ্রগতি শূন্য।
গতকাল বেলা ১২টায় ‘জুম অ্যাপের’ মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ১২টি সিটি করপোরেশনের গত ২০২১-২২ অর্ধবছরে সংশোধিত প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চসিকের পক্ষে উপস্থাপিত চারটি প্রকল্পের মধ্যে এলইডি বাতির প্রকল্পটির এমন চিত্র উঠে আসে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, দুই দেশিয় কাগুজে জটিলতা। তবে তা শীঘ্রই কাটিয়ে উঠে বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছেন প্রকল্পটির পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ। এলইডি বাতির পরেই ধীরগতিতে রয়েছে সিটি করপোরেশনের আওতাধীন পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য পরিচ্ছন্ন নিবাস প্রকল্প। ২০১৮ সালে অনুমোদন হলেও ভৌত অগ্রগতি মাত্র ১৭ শতাংশ। তবে প্রকল্পটির সেবা গ্রহীতা পরিচ্ছন্নকর্মীদের অসহযোগিতার কারণেই প্রকল্প বাস্তবায়নে বেগ পেতে হচ্ছে সিটি করপোরেশনকে। এ ছাড়া ১২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক নেটওয়ার্কিং ও বাস/ট্রাক টার্মিনাল প্রকল্পটির বাস্তবায়ন প্রায় ৮২ শতাংশ। বাস/ট্রাক টার্মিনাল অংশটি জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণের দেরির কারণে বিলম্বিত হচ্ছে বাস্তবায়ন। তাই প্রক্রিয়াগত জটিলতা নিরসন করে ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করার জন্য মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন প্রকল্পটির পরিচালক। অন্যদিকে জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিকের অধীনে বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্পটির ধীরগতি নিয়ে সবার জানা। ২৫ একর জায়গার মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ হয়েছে ১০ একর। ওইটুক জায়গাতে বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে। তবে প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি দেখানো হয়েছে ৬৯ শতাংশ।
সভার বিষয়ে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী পূর্বদেশকে বলেন, সরকারি টাকায় নগর উন্নয়নে প্রকল্পগুলো দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টাকার অপচয় যাতে না হয় সেদিকে নির্দেশনা রয়েছে। কাজের গুণগত মান, সময় বাঁচিয়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিদ্যুতের প্রকল্পটি অনেক জটিলতা কাটিয়ে উঠছে। আশা করছি এবারে বাস্তবায়ন শুরু হবে।