তিন পার্বত্য জেলার ৯ সীমান্ত সড়ক পরিদর্শনে সেনাপ্রধান

17

রাঙামাটি প্রতিনিধি

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফি উদ্দিন আহমেদ। গতকাল সোমবার পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার দুর্গম সাইচাল আর্মি ক্যাম্পে দুমদুম্যা এলাকার সীমান্ত সড়কের প্রকল্প পরিদর্শন এবং কাজের অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন সেনা প্রধান।
এসময় সেনা প্রধানের সাথে লে. জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ারি হাসান, মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিব উল্লাহ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ রাঙামাটি ব্রিগেড কমান্ডার এবং অন্যান্য সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে সেনা প্রধান বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকাগুলোতে কাজ করা খুবই কষ্ট সাধ্য। এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্প বিকাশে এ বর্ডার রোড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, দূর্গম এই এলাকায় কাজ করতে গিয়ে কষ্ট হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই সড়কের কাজ সমাপ্ত করা হবে। তিনি বলেন, আমি পরিদর্শন করতে আসার উদ্দেশ্য হলো এই এলাকায় যারা কাজ করছে তাদের মনোবল বাড়ানো। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের অংশ হিসেবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সীমান্ত সড়ক নির্মাণ (প্রথম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। এই সময়সীমার মধ্যে তারা প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারবে। একেবারে দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকা যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্কও নেই।
সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে প্রকল্পটির কাজ চলছে। সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩৬ কিলোমিটার। প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শেষ হলে পার্বত্য জেলাগুলোর সীমান্ত বরাবর নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো উন্নয়ন ও উন্নতি হবে। এছাড়া সীমান্তে দুই পাশের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ হবে। পাশাপাশি প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। সীমান্ত এলাকার কৃষিপণ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতিতেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে এই প্রকল্প।