তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

25

টানা বৃষ্টির কারণে গত ৯ দিন ধরে রাঙামাটির সঙ্গে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। গত ৬ জুলাই থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটি-বান্দরবান ও রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার মাটি সরে যাওয়ায় আন্তঃজেলা বাস সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টির কারণে মাটি সরে গিয়ে অনেক জায়গায় সড়ক দেবে গেছে।
পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজ হোসেন বলেন, বৃষ্টি শুরুর পর থেকে আন্তঃজেলা যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে এই পেশার সঙ্গে জড়িতরা সমস্যায় আছেন। কারণ গাড়ির চাকা চললে তাদের সংসারের চাকা সচল থাকে। আর গাড়ি বন্ধ তো সংসারের চাকাও বন্ধ। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু মোছা বলেন, আমার দায়িত্বে থাকা সড়কের প্রায় ৩০টি স্থানে মাটি সরে গেছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২২ কিলো নামক একটি স্থানে। সেখানে এমনভাবে মাটি সরে গেছে তা ঠিক করতে কিছুটা সময় লাগবে। সিএনজি চলাচল করলেও ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃষ্টি না হলে আশা করছি আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে বাস চলাচলা শুরু করতে পারবে।
আরেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী দীপন চাকমা বলেন, রাঙামাটির ঘাগড়া থেকে রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া পর্যন্ত আমার দায়িত্ব। এর মধ্যে প্রায় ১৫-৩০ স্থানে রাস্তার পাশের মাটি সরে যাওয়ায় ভারী যান চলাচল আপাতত বন্ধ আছে। গত শনিবার করিগর পাড়ায় পাহড় ধসে দুই জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। রবিবার ওই জায়গাটি পরিষ্কার করা হয়েছে। যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে সোমবার অথবা মঙ্গলবার থেকে বাস চলাচলা শুরু করা যাবে।
রাঙামাটি বাস মালিক সমিতির সভাপতি মাঈন উদ্দিন সেলিম জানান, ২০১৭ সালে ভয়াবহ পাহাড় ধসের পরও গত দুই বছরে রাস্তার স্থায়ী কাজ না হওয়ার ফলে ৪ থেকে ৫ দিনের বৃষ্টিতে আন্তঃজেলা যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। আশা করছি, এ বছরের মধ্যে রাঙামাটি-বান্দরবান, রাঙামাটি-খাগড়াছড়িসহ রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়টি দ্রুতই স্থায়ী সামাধান হবে।