তিনি নেই, তিনি আছেন

7

 

গুণী গীতিকবি, সুরকার-সংগীত পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুবার্ষিকী ছিল শনিবার (২২ জানুয়ারি)। ২০১৯ সালের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সংগীতের উজ্জ্বল এই নক্ষত্র। ‘সব ক’টা জানালা খুলে দাও না’, ‘আমার সারাদেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’র মতো জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা শুরু করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। এরপর আমৃত্যু সংগীত সাধনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল একুশে পদক, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। দীর্ঘ সংগীত জীবনে সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সৈয়দ আব্দুল হাদি, এন্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, খালিদ হাসান মিলু, আগুন, কনকচাপা, আইয়ুব বাচ্চুসহ দেশের প্রায় সব জনপ্রিয় শিল্পীদের নিয়ে কাজ করেছেন গুণী এই সংগীত ব্যক্তিত্ব।
সংগীত প্রতিভা অন্বেষণে রিয়েলিটি অনুষ্ঠান ক্লোজআপ ওয়ানের তিন মৌসুমে বিচারকও ছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। তার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’, ‘সেই রেললাইনের ধারে মেঠোপথটার পারে দাঁড়িয়ে’, ‘মাগো আর তোমাকে ঘুম পাড়ানি মাসি হতে দেব না’, ‘একতারা লাগে না আমার দোতারাও লাগে না’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘আমি তোমারি প্রেমও ভিখারি’, ‘ও আমার মন কান্দে, ‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘এই বুকে বইছে যমুনা’ ইত্যাদি।