তারা ভেবেছিল এসব ত্রাণ ‘রাবারওয়ালাদের’

25

লামা প্রতিনিধি

অবশেষে ত্রাণ নিয়েছেন বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের দূর্গম পাহাড়ি লাংকম ম্রো পাড়া, জয়চন্দ্র ত্রিপুরা পাড়া এবং রেংয়ান ম্রো পাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মানুষ।
গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে তিন পাড়ার ৩৬ পরিবারের লোকজন উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে প্রশাসনের দেয়া এই খাদ্য সহায়তা গ্রহণ করেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল, নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহেদ উদ্দিন ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের হাতে ত্রাণ হিসেবে ১০ কেজি চাল, ৫০০ গ্রাম ডাল, ১ কেজি মুডি, ২ লিটার পানি, ১ কেজি চিড়া তুলে দেন।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল এক অগ্নিকান্ডে ওই তিন পাড়ার পাশে প্রায় ১০০ একর জুম বাগান পুড়ে যায়। এতে পাড়াগুলোর লোকজন খাদ্য এবং খাবার পানির তীব্র সংকটে পড়ে। পরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা করতে গেলে ক্ষতিগ্রস্তরা তা গ্রহণ না করে ফেরত দেন। এর কারণ হিসেবে পাড়ার বাসিন্দা লাংকুম ম্রো (৩৬), রুইপাও ম্রো (৩০) ও রেংয়ান ম্রো বলেন, ওদিন ইউএনও স্যারের পেছনে আমাদের প্রতিপক্ষ লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের লোকজন ছিল। তাই আমরা ভাবছিলাম ত্রাণগুলো লামা রাবারের সহায়তা। কারণ তারাই আমাদের জুমের ফসল জ্বালিয়ে দিয়েছে। এ কারণে ত্রাণ গ্রহণ করিনি। আমরা ভুল করেছিলাম। এখন আমরা ত্রাণ পেয়ে খুশি। এইভাবে আমরা প্রশাসনকে সব সময় পাশে চাই।ত্রাণ সহায়তা প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল জানান, ত্রাণ নেয়ার জন্য পাড়াবাসীদেরকে গাড়ি রিজার্ভ করে দেয়া হয়েছে। এই তিনটি পাড়ার লোকজনের প্রতি আমাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।