তাইওয়ানকে খুব দ্রুতই একীভূত করতে চায় চীন : ব্লিনকেন

8

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আগে যা ধারণা করা হয়েছিল চীন তার চেয়েও ‘আরও অনেক দ্রুত একটি সময়সীমার’ মধ্যে তাইওয়ানকে একীভূত করার পথে এগুচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তিনি বলেন, বিদ্যমান অবস্থা আর গ্রহণযোগ্য নয় বলে বেইজিং সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। মঙ্গলবার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের বক্তব্যে ব্লিনকেন এসব কথা বলেন। সেখানে তার সঙ্গে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিৎসা রাইসও ছিলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ব্লিনকেন বলেন, বেইজিং শান্তিপূর্ণভাবে তাইওয়ানকে একীভূত করতে সফল না হলে জোর করে, বল প্রয়োগ করে সেটি করবে। এটিই বিদ্যমান স্থিতাবস্থাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করা এবং প্রচণ্ড উত্তেজনা সৃষ্টি করার মতো বিষয়। তবে সে পরিস্থিতিতেও তাইওয়ানের প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দেবে এবং দ্বীপদেশটিকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে বলে জানিয়েছেন ব্লিনকেন। রোববার ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে তাইওয়ানকে একীভূত করার বিকল্প পথ রাখার কথা জানানোর পর বিøনকেন এমন মন্তব্য করলেন। চীন-তাইওয়ানের বিরোধের কেন্দ্রে অবস্থান করছে তাইওয়ান নিয়ে চীন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি। চীন তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে; সে হিসেবে, তাইওয়ান চীনেরই অংশ।
অন্যদিকে, তাইওয়ানের অনেক নাগরিকই স্বাধীনতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হোক বা না হোক তাদের স্বশাসিত দ্বীপটিকে পৃথক দেশ মনে করে। ওদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, তারা ‘এক চীন’ নীতিতে অটল, যাতে বেইজিংয়ের সরকারকেই স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। তাদের আনুষ্ঠানিক ক‚টনৈতিক সম্পর্কও বেইজিংয়ের সঙ্গে, তাইপের সঙ্গে নয়।
আবার তাইওয়ান আক্রান্ত হলে তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতিও আছে যুক্তরাষ্ট্রের। সে কারণে তারা তাইওয়ানকে নানা সামরিক সহায়তা করে আসছে। চীন তাইওয়ানে আক্রমণ করে বসলে তা ‘গভীর উদ্বেগের’ হবে বলে সতর্কও করছে তারা।