তবে কি মৌসুমী-সানির সংসার ভাঙছে স্বামী কেন ভাই? সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

34

 

চিত্রনায়ক ওমর সানী ও জায়েদ খানের মধ্যকার চড়-পিস্তল ঘটনা নিয়ে ঢালিউডে বিরাজ করছে উত্তেজনা। স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ আচরণ ও তাকে বিরক্ত করায় গত ১০ জুন খল অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে জায়েদ খানকে চড় মেরেছেন নায়ক ওমর সানী। বিপরীতে জায়েদ পিস্তল বের করে তাকে গুলির হুমকি দেন। জায়েদ খান চার মাস ধরে মৌসুমীকে বিরক্ত করে আসছেন। এই ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই ওমর সানীর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করলেন মৌসুমী। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় তাঁকে ছোট করা হয়েছে বলে ওমর সানীর ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেছেন এই নায়িকা। মৌসুমী বলেন, ‘আমি সরাসরি বলি জায়েদ আমাকে কোনোপ্রকারে বিরক্ত, কটূক্তি বা কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করেনি। এখানে আমার প্রসঙ্গটা অপ্রাসঙ্গিক।
আমি চাই না এখানে আমার কথা আসুক। ‘তাঁকে ছোট করে ওমর সানী আনন্দ পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করে মৌসুমী বলেন, ‘আমাকে এই ছোট করার মধ্যে আমরা যাকে অনেক শ্রদ্ধা করে আসছি আমাদের ওমর সানী ভাই। তিনি এখন কেন এত আনন্দ পাচ্ছেন সেটা আমি বুঝতে পারছি না। আমার সঙ্গে কোনো সমস্যা থাকলে সেটা আমার সঙ্গেই সলভ করবে।’ গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি মৌসুমী বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা একটা কথা না পেলেই খুব সহজভাবে লিখে দেন। এটা আসলে কাম্য না। একটু আলোচনা করা উচিত ছিল। যেহেতু আমার প্রসঙ্গে এসেছে। আমার সঙ্গে কথা বললে হয়তো লিখতেনই না। তিনি একতরফা বলেছেন, কিন্তু আমি অভিযোগ করলাম কি না, সেটা জানা জরুরি। আমার নামটা যেন এখানে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে না আসে। ’ নায়িকা আরো বলেন, ‘জায়েদের গুণ ছাড়া কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে এই ধরনের কোনো মন-মানসিকতা তার মধ্যে আমি দেখিনি। তারপরে বলব, ও অনেক ভালো ছেলে। কেন বারবার আমাকে জায়েদ বিরক্ত করে, সে আমাকে উত্ত্যক্ত করছে, এসব কথা কেন আসছে জানি না। এটা আসা ঠিক না। এটা আমাদের একদম পারিবারিক একটা সমস্যা। সে সমস্যা আমাদের পারিবারিকভাবে সমাধান হওয়া দরকার। এখানে জায়েদের কোনো দোষ খুঁজে পাচ্ছি না। ’ ডিপজলের ছেলে সৌমিকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় ওমর সানী জায়েদ খানকে চড় মেরেছেন। জায়েদও সানীকে বন্দুক দেখিয়েছেন- এমন একটি খবর প্রকাশ হয়। যার নেপথ্যে মৌসুমী রয়েছেন বলে বলা হয়। কিন্তু সে খবর ভিত্তিহীন দাবি করেন জায়েদ খান। এখন মৌসুমীও দাবি করলেন তাঁকে জায়েদ বিরক্ত করেন না। তাহলে ওমর সানীর এই দাবির ভিত্তি কী? নেটিজেনরা সে প্রশ্নই রাখছেন।­