তদারকিতে থাকছে ভোক্তা অধিদপ্তরও

45

ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশু কেনাবেচায় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় এবার প্রথম বারের মতো পশুর হাটের তদারকিতে থাকছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সারা দেশে মোটাতাজা করা পশু চিহ্নিত করা ও পশুর হাটে গ্রাহক প্রতারণাসহ নানা অনিয়ম ঠেকাতে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে এবার যুক্ত হচ্ছে সংস্থাটি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, কোরবানির পশুর হাটের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, ভোক্তাদের বিভিন্ন রকম প্রতারণার হাত থেকে সুরক্ষা এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানি থেকে সুরক্ষা দিতে এপিবিএন সদস্যদের নিয়ে তাদের টিম কোরবানির পশুর মাঠে কাজ করবে। পশুর হাটে জাল নোটের প্রতারণা ও পশুর শরীরে স্টেরয়েড কিংবা অন্যান্য ক্ষতিকারক উপাদান পাওয়া গেলে সেবিষয়েও হস্তক্ষেপ করা হবে বলে জানান শহরিয়ার। খবর বিডিনিউজের
কোরবানির পশুর হাটে দায়িত্ব পালন করা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, গত দুই বছরে রাজধানী ঢাকার কোরবানির পশুর হাটগুলোতে কোনো পশুর শরীরে স্টেরয়েডের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এর ফলে ধারণা করা যাচ্ছে- এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানান, ২০১৮ সালে রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাটে শতাধিক এবং এর আগের বছর ৪৫টি গরু পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষায় স্টেরয়েড কিংবা অন্য কোনো ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া যায়নি। তবে অধিদপ্তরের তদারকি কাজ এবারও অব্যাহত থাকবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, সারা বছরে দেশে প্রায় দুই কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া জবাই হয়। এর অর্ধেকই জবাই হয় কোরবানির ঈদের সময়। গত বছর কোরবানির আগে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া মিলিয়ে দেশে এক কোটি ১৬ লাখ ‘কোরবানিযোগ্য’ গবাদির হিসাব দিয়েছিল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ইমাম বলেন, তারা মাঠ পর্যায়ের কৃষি অফিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের মাধ্যমে খামারিদের তথ্য সংগ্রহ করছেন। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এবিষয়ে সমন্বয় সভা হবে।