তথ্য গোপন করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ৫ বছর মেম্বার!

42

পটিয়া প্রতিনিধি

ডাকাতি, দুই পুলিশ হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য মামলার আসামি দুলা মিয়া প্রকাশ দুলাইয়া ডাকাত। বড়রিয়া ইউনিয়ন থেকে ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে অংশ নিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। সে সময় নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্বাচিত হয়ে গত ৫ বছর দায়িত্ব পালনও করেছিলেন। কিন্তু এবার ধরা খেলেন একই ওয়ার্ডের প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী শাহী ইমরানের কাছে। দুলা মিয়া অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মামলার কাগজপত্র দিয়েছিলেন পটিয়া রিটার্নিং অফিসারের কাছে। কিন্তু সেখানে তাকে এবারও বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে শাহী এমরান আপিল করেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে। সেখানে শুনানি শেষে সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন গতকাল রবিবার স্থানীয় সররকার বিধিমালার ২০১০ এর বিধি ১৪ এর ৩ উপবিধি অনুসারে দুলা মিয়ার মনোনয়ন বাতিল করেন।
পটিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. দীপক কুমার শীল জানান, দুলা মিয়ার যেহেতু দুই বছরের অধিক সাজা, সেহেতু তিনি নির্বাচনে অযোগ্যপ্রার্থী। তথ্য গোপন করে গতবার নির্বাচিত হয়ে গত ৫ বছর যে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তার পুরোটাই অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। এছাড়া ওই মেয়াদে সরকারের কাছ থেকে যেসব বেতন-ভাতা নিয়েছিলেন তাও সরকারি কোষাগারে আইনত ফেরত দিতে হবে।
উল্লেখ্য, দুলা মিয়া বড়লিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাইর মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ির বাসিন্দা মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, ১৯৯৭ সালে আনোয়ারায় ডাকাতি ও একই বছরে পটিয়ায় দুই পুলিশ সদস্যকে খুন করে অস্ত্র লুট করে দুলা মিয়া। পরে পুলিশ বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে সেসব অস্ত্র উদ্ধার করে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে সহ আরো কয়েকটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের অপর একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে ১৭ বছরের সাজা হয়। কিন্তু ২০১৬ সালে তথ্য গোপন করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন।