পূর্বদেশ ডেস্ক
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে গাইবান্ধার উপ নির্বাচন বন্ধ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হয়েছে যে, নির্বাচন সবসময় নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হয়। তাদের সিদ্ধান্তই সবার উপরে। সরকারের সেখানে ভ‚মিকা নেই। ফলে বিএনপিসহ কেউ কেউ যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার প্রভৃতি নানা ধরনের সরকারের ফর্মুলা দেয় সেটিরও কোনো যৌক্তিকতা নেই।
তবে মন্ত্রী বলেন, মাঠে কর্মরত নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা লিখিত দিয়েছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, কোনো গন্ডগোল হয়নি, আর পাঁচশ কিলোমিটার দূরে বসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে নির্বাচন কমিশন পুরো উপ নির্বাচন বাতিল করেছে, যে কারণে জনগণই বলছে কমিশনের এ সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ।
ড. হাছান বলেন, সেখানকার ভোটার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবংবিভিন্ন টক শোতে আমি যেটা দেখেছি-শুনেছি, তা থেকে আমাদের মনে হচ্ছে, সাধারণ জনগণ তাদের এই সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছে, কারণ নির্বাচনী এলাকার কোথাও কোনো ধরণের গন্ডগোল হয়নি। এছাড়া কোনো পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ ছিল না। তাহলে অন্য কেন্দ্রের ভোট কেন স্থগিত হলো, মানুষের কাছে সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে আন্দোলন করছে বিরোধী দলগুলো। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএমের বিরোধিতা করছে বেশির ভাগ দল। অপরদিকে সরকারি দল ও তাদের কয়েকটি সহযোগী দল ইভিএমের পক্ষে মতামত দিয়ে আসছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপরও আস্থা নেই বলছে বেশির ভাগ দল। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধার উপ-নির্বাচন বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা ইসির প্রতি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা ফিরিয়ে আনার একটা প্রচেষ্টা। অপরদিকে আন্দোলনরত বিএনপি বলছে এটি সরকার এবং ইসির ব্যাপার। এতে তাদের কোনো আগ্রহ নেই।