ঢাকা ওয়াসা শরবত খাওয়ানোর ঘটনাকে ‘নাটক’ বললেন এমডি

63

ঢাকা ওয়াসার পানি দিয়ে শরবত খাওয়ানোর ঘটনা ‘নাটক’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির প্রধান তাকসিম এ খান। শরবত বানাতে পানি নিয়ে আসা মিজানুর রহমানের ‘মানসিক সমস্যা’ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা ওয়াসার পানি শতভাগ বিশুদ্ধ বলে তাকসিম দাবি করার পর জুরাইনের বাসিন্দা মিজানুর তা মিথ্যা প্রমাণের জন্য গত মঙ্গলবার তার বাসায় সরবরাহ করা পানি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কারওয়ান বাজারে সেবা সংস্থাটির প্রধান দপ্তরে। তিনি ঘোলা ওই পানির শরবত বানিয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিমকে খাওয়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে তিনি সফল না হওয়ার পর ভালো পানি পাওয়ার আশ্বাস পেয়ে ওয়াসা ভবন ছাড়েন।জুরাইন নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক মিজানুরের অভিনব ওই কর্মসূচি নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে গতকাল বুধবার তা নিয়ে মুখ খুলেছেন তাকসিম খান। তিনি বলেন, ‘সেটা তো পুরাটাই নাটক। তাদের বাসার পানি তো ভালো। তারা বলছে ১০ বছর ধরে পানি পাচ্ছে না। কিন্তু আমাদের কর্মকর্তারা তো সেই বাসায় গিয়ে পানি খেয়ে এসেছে’। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, পানি নিয়ে ওয়াসা ভবনে আসার পর মিজানুরের বাড়ির ঠিকানা জানতে চেয়েছিলেন ওয়াসার কর্মকর্তারা। কিন্তু তিনি বাসার ঠিকানা দিতে ‘রাজি হচ্ছিলেন না’। আমাদের নিয়মটা হলো, কেউ যদি কোনো অভিযোগ করে যে আমার বাসার পানি খারাপ, তাহলে আমরা বলি আপনি ঠিকানাটা দেন, আমরা লোক পাঠাচ্ছি ল্যাবরেটরি থেকে। কিন্তু কিছুতেই সে ঠিকানা বলবে না। তখন আমাদের কর্মকর্তারা বলল, আপনি বলছেন আপনার বাসার পানি খারাপ, ঠিকানা না দিলে আমরা টেস্ট করব কিভাবে? তখন সে বলে, পুরো জুরাইনের পানিই খারাপ। একবার বলে ঢাকা শহরের পুরোটা। তো কর্মকর্তারা জোর করার পরে সে একটা ঠিকানা দিয়েছে।
মিজানুরের দেওয়া ওই ঠিকানাও ‘ভুল ছিল’ বলে দাবি করেন তাকসিম খান। তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকজন গিয়ে দেখে, ওটা তার বাসা না। সেটা তার ভাইয়ের বাসা। তার ভাই বলেছে যে ‘আমি তো কোনো কমপ্লেইন করি নাই’। ওই বাসার পানি পরীক্ষা করে সেটা ভালো পাওয়া গেছে। আমাদের কর্মকর্তারা সেই পানি পান করেছেন’।
তবে মিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানান ওয়াসা এমডি। তিনি বলেন, ‘ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি’। ওই বাড়ি থেকে আনা পানি পরীক্ষার জন্য ঢাকা ওয়াসার ল্যাবে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তাকসিম বলেন, ফলাফল এলে তা গণমাধ্যমে পাঠানো হবে। খবর বিডিনিউজের
এদিকে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দাবি ঠিক নয় বলে জানান মিজানুর। নিজেকে ‘খুবই গরিব মানুষ’ দাবি করে তিনি বলেন, তার কোনো বাড়ি নেই। ওয়াসার কর্মকর্তাদের মায়ের বাসার ঠিকানা দিয়ে এলেও মঙ্গলবার তারা সেখানে যাননি। আমি আমার মায়ের বাসায় থাকি। আমি আমার নাম ঠিকানা ও ফোন নম্বর দিয়া আসছি। কিন্তু তারা আমার বাসায় না গিয়ে কাছেই আমার স্ত্রীর বাসায় গিয়েছেন। হয়তো তাদের ভয়ভীতি দেখাতে গিয়েছিলেন। আমি বাসায় ছিলাম না। তাকে অনেকটা বø্যাকমেইলিং করেছে। তাকে না জানিয়ে ভিডিও করেছে। ভাইয়ের বাসার ঠিকানা দেওয়ার বিষয়টি অসত্য’।