ঢাকাকে হারিয়ে শেষ চারে চিটাগং

25

নিজ শহরে টানা তিন ম্যাচ হেরে অবশেষে ঢাকা ডায়নামাইটসকে ১১ রানে হারিয়ে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করলো চিটাগং ভাইকিংস। এই জয়ে শেষ চারও নিশ্চিত হলো মুশফিকুর রহিমদের। ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সঙ্গে পরের পর্বে চিটাগং। তিন দলেরই সমান পয়েন্ট, তবে কুমিল্লা খেলেছে এক ম্যাচ কম। পয়েন্ট টেবিলে রংপুর সবার উপরে, দ্বিতীয় দল কুমিল্লা। আর তিনে চিটাগং।
গতকাল কাট্টলীর জহুর আহমেদ চৌধুরী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৭৪ রান করে চিটাগং। তারপর দারুণ বোলিং নৈপুণ্যে ঢাকাকে ৯ উইকেটে ১৬৩ রানে থামায় তারা। এই ঢাকার বিপক্ষে জিতেই চট্টগ্রামে পা রেখেছিল চিটাগং। কিন্তু প্রথম তিন ম্যাচই হেরে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত সেই ঢাকাকে হারিয়ে নিজ শহরে একমাত্র জয়ের স্বাদ পেলো চিটাগং।
১৭৫ রানের টার্গেট দিয়ে চিটাগং শুরুতে ধাক্কা দেয় ঢাকাকে। আবু জায়েদ রাহী তার প্রথম দুই ওভারে সুনীল নারিন (০) ও রনি তালুকদারকে (৬) মাঠছাড়া করেন। এরপর দলীয় ২৩ রানে মিজানুর রহমান (১১) তৃতীয় ব্যাটসম্যান হয়ে রান আউট হন। নুরুল হাসান ও সাকিব আল হাসানের জুটিতে এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে ঢাকা। কিন্তু ৫০ রানের এই জুটি ভাঙলে আবার বিপদে পড়ে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। দশম ওভারে পরপর নুরুল (৩৩) ও কিয়েরন পোলার্ড (০) বিদায় নেন। ক্যামেরন ডেলপোর্টের ওই ওভারে নুরুল এলবিডাব্লিউ হন, আর রান আউট হন পোলার্ড।
৭৩ রানে ৫ উইকেট হারানো ঢাকা আবারও আশাবাদী হয়ে ওঠে সাকিব ও আন্দ্রে রাসেলের জুটিতে। ২৩ বলে ৪টি চার ও দু’টি ছয়ে ৩৯ রানে রাসেল আউট হন। তাদের ৬৬ রানের জুটি ভাঙলেও সাকিব ক্রিজে থাকায় স্বস্তি ছিল।
বিশেষ করে ১৮তম ওভারে বাজে ফিল্ডিংয়ের মাশুল দিতে বসেছিল চিটাগং। কিন্তু জীবন পাওয়া শুভাগত হোম (৫) পঞ্চম বলে ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন নাঈম হাসানকে। পরের ওভারে ৪১ বলে চার মেরে পঞ্চাশ রান করে দলকে জয়ের পথে রাখেন সাকিব। কিন্তু পরের বলে ঢাকা অধিনায়ক লং অনে নাঈমের ক্যাচ হলে সব আশা শেষ হয়ে যায় তাদের। ৪২ বলে ৬ চারে ৫৩ রান করেন সাকিব।
শেষ ওভারে ১৮ রান দরকার পড়ে ঢাকার। রাহীর ফুল আউটসাইড অফ বলে সুবিধা করতে পারেননি মাহমুদুল হাসান ও বার্চ। বরং পঞ্চম বলে নবম উইকেটের পতন ঘটে মাহমুদুল (২) আউট হলে।
রাহী ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। দাসুন শানাকা নেন ২ উইকেট। ম্যাচসেরা হয়েছেন চিটাগংকে দারুণ সংগ্রহ এনে দেওয়া ডেলপোর্ট, ৫৭ বলে ৫ চার ও ৪ ছয়ে ৭১ রান করেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চিটাগং ভাইকিংস: ২০ ওভারে ১৭৪/৫ (শাহজাদ ২১, ডেলপোর্ট ৭১, ইয়াসির ১৯, মুশফিক ৪৩, শানাকা ০, রাজা ৬*, মোসাদ্দেক ১*; বার্চ ৪-০-৩৫-০, রাসেল ৪-০-৩৮-৩, সাকিব ৩-০-২৪-০, নারাইন ৪-০-২০-২, রুবেল ৪-০-৪০-০, মাহমুদুল ১-০-৮-০)
ঢাকা ডায়নামাইটস: ২০ ওভারে ১৬৩/৯ (মিজানুর ১১, নারাইন ০, রনি ৬, সাকিব, নুরুল ৩৩, পোলার্ড ০, রাসেল ৩৯, শুভাগত ৫, বার্চ ৭*, মাহমুদুল ২, রুবেল ০*; আবু জায়েদ ৪-০-২৫-৩, খালেদ ৪-০-৩৫-০, নাঈম ৪-০-৩৭-১, ডেলপোর্ট ৪-০-৩১-১, শানাকা ৪-০-৩৪-২)
ফল: চিটাগং ভাইকিংস ১১ রানে জয়ী, ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ক্যামেরন ডেলপোর্ট