‘ডোপ টেস্টের’ পর পদ দিতে চান মেয়র নাছির

25

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, দেশে প্রায় ৭০ লক্ষ মাদকসেবী রয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই এই প্রজন্মের যুব সমাজ। যা জাতির জন্য একটি অশনি সংকেত। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণে সমাজপতি, পরিবার ও পরিবারের কর্তাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি নিজের দলের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার যদি একক ক্ষমতা থাকতো, দলের নেতা-নেত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট (মাদক গ্রহণ করেছে কি না তার পরীক্ষা) এর মাধ্যমে দলীয় পদে স্থান দিতাম।’
তিনি গতকাল বুধবার সকালে আগ্রাবাদস্থ সিডিএ এলাকায় উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) এর কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমান।
মেয়র বলেন, নগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে কোনো সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীকে ওয়ার্ড, থানা কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে না। মাদকের মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী আমাদের দলের সুনাম নষ্ট ও দেশকে মেধাশূন্য করার চেষ্টায় রয়েছে। তাই আমাদের সন্তানরা কি করছে, কোথায় যাচ্ছে, সেটি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের সন্তানদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পারলেই স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মিত হবে।
তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছেন। এতে যারা জড়িত তাদের পার পাওয়ার কোনো পথ নেই। এ ক্ষেত্রে দলীয় প্রধানের অনড় অবস্থানের কারণে দলের কেউ সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও জঙ্গীদের স্থান দিলেও তাতে রক্ষা পাওয়া যাবে না।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. আলতাফ হোসেন বাচ্চু, প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) সিএমপি, চট্টগ্রাম আমেনা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান), সিএমপি শ্যামল কুমার নাথ, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আনোয়ারা আলম, আরাসকা সিডিএ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লিয়াকত আলী। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মো. ফারুকুল হক।