ডেঙ্গুতে আরো৫ জনের মৃত্যু

10

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
গত এক দিনে এইডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো ৪৪০ জন নতুন রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ২৭৯ জন ও ঢাকার বাইরে ১৬১ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগের দিন বৃহস্পতিবার মোট ৮৯৯ জন ডেঙ্গুরোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন, মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। সেই হিসেবে একদিনের ব্যবধানে হাসপাতালে ভর্তি নতুন রোগীর সংখ্যা কমলেও মৃত্যু বেড়েছে।
নতুন রোগীদের নিয়ে বর্তমানে দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৩ হাজার ৫৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ২৮০ জন ও ঢাকার বাইরে ১ হাজার ২৫৯ জন ভর্তি রয়েছেন।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ৩২৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৮ জন, খুলনা বিভাগে ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৩ জন, বরিশাল বিভাগে ৭ জন এবং সিলেট বিভাগে দুইজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।
সারাদেশে এ পর্যন্ত যে ১২৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৭৩ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং একজন করে মোট দুইজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগের মাদারীপুর ও নরসিংদী জেলায়।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন, খুলনা বিভাগে ৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৩৫ হাজার ২৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩১ হাজার ৫৯৫ জন। চলতি বছর ডেঙ্গুতে যে ১২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ৭৩ জনই মারা গেছেন চলতি অক্টোবর মাসের ২৮ দিনে, যা এ বছরের সর্বোচ্চ।
এর আগে সেপ্টেম্বরে ৩৪ জন, আগস্টে ১১ জন, জুলাইয়ে ৯ জন এবং জুন মাসে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। খবর বিডিনিউজের
আগস্টে ৩ হাজার ৫২১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেপ্টেম্বরে ভর্তি হয়েছিলেন ৯ হাজার ৯১১ জন। আর অক্টোবরের ২৮ দিনে ১৯ হাজার ১৭০ রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সরকারি হিসাবে সেবার মৃত্যু হয়েছিল ১৬৪ জনের।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হন, কেবল তাদেরই তথ্য আসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে। আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হননি, এমন ব্যক্তিরা সরকারের হিসাবের বাইরেই থেকে যান।